ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


বাণিজ্য এলাকা ও বসতি একসঙ্গে চলতে পারে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:২৬

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ০১:২৭

বাণিজ্য এলাকা ও বসতি একসঙ্গে চলতে পারে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাণিজ্য এলাকা ও বসতি একসঙ্গে চলতে পারে না। আশা করি এই ঘটনার মাধ্যমে স্থানীয়দের টনক নড়বে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুনে দগ্ধ রোগীদের দেখতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যার যা চিকিৎসা লাগবে এখান থেকে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি চিকিৎসা ও এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি সিলেটে ছিলাম। সেখান থেকে সরাসরি হাসপাতালে চলে এসেছি। আগুনে ৬৭ জন মারা গেছেন। কেউ কেউ এমনভাবে মারা গেছেন যে এদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এদের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। এছাড়া নয়জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে চারজনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। সবার অবস্থায় গুরুতর। প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তবে আমাদের বার্ন ইউনিটে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। চিকিৎসকরা বিশ্রামহীনভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সুস্থ হয়ে কয়েকমাস লাগবে। এদের চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’

নিহতদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

এই একলাখ টাকা যথেষ্ট কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধু স্বাস্থ্যসেবার দিকটি দেখে। ক্ষতিপূরণ বা আর্থিক বিষয়টি অন্যান্য দফতর দেখবে। তবে আমরা বলতে পারি রোগীরা প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা পাবেন। এখানে আমাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি থাকবে না।’

নিমতলীর ঘটনার পর চকবাজারের ঘটনা ঘটল। একইসঙ্গে গোডাউন ও বসতি এলাকা এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘নিমতলী ছিল আমাদের জন্য ট্র্যাজেডি। চকবাজারের এই ঘটনাও দুঃখজনক। একইসঙ্গে গোডাউন ও বসতি এলাকা। এভাবে চলতে পারে না। আশা করি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্থানীয়দের টনক নড়বে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আছাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খান আবুল কালাম, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন।