ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


মানবিক ছাত্রনেতা গোলাম রাব্বানীর জীবনবৃত্তান্ত!


১০ মার্চ ২০১৯ ০৫:৪২

আপডেট:
১০ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫৬

মানবিক ছাত্রনেতা গোলাম ব্বানীর জীবনবৃত্তান্ত!

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু'র) সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের সরকারি চাকরিজীবী বাবা এম এ রশিদ আজাদ সেটেলমেন্টের একজন কর্মকর্তা। বাবার চাকরির সুবাধে গোলাম রাব্বানীর ছোটবেলা কেটেছে গোপালগঞ্জ শহরে। শহরের অনির্বাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে বাবার বদলিজনিত কারণে তিনি ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি হন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন ঢাকার উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখান থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনাকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৫ম স্থান করেণ ।মিষ্টভাষী ও সুবক্তা হিসেবে অল্পদিনে তিনি দলীয় নেতাদের নজর কাড়েন। অত্যন্ত বিনয়ী ও সদালাপের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন গোলাম রাব্বানী। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

 


গোলাম রাব্বানীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থাকাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও আপদে-বিপদে সর্বদা এগিয়ে আসতেন গোলাম রাব্বানী। তিনি ঢাকার বিভিন্ন বস্তির ছিন্নমূল শিশুদের পড়াশোনার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছেন।

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের আর্থিক সহায়তা, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য গোলাম রাব্বানী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।

 

গোলাম রাব্বানী পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। গোলাম রাব্বানীর মা মরহুমা তাছলিমা বেগম ছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্থানীয় ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম সামশুল হক মুন্সীর বড় মেয়ে।তিনিও এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের আর্থিক সহায়তা, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য "মানবতার আপা" খ্যাতি লাভ করেণ।

মরহুম সামশুল হক মুন্সী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর এবং শেখ পরিবারের একজন অন্যতম সুহৃদ। মাদারীপুর অঞ্চলে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় সামশুল হক মুন্সীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম ছিলেন রাজৈর কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক (১৯৮৩-১৯৯১)। তিনি নব্বয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও এ এলাকায় ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম গত ১৯ জুলাই আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন।



অপরদিকে গোলাম রাব্বানীর বাবা এম এ রশিদ আজাদ ভূমি মন্ত্রালয়ের অধীনে কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে ফরিদপুরে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি রাজৈর কেজেএস হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সে সুবাদে তিনি এলাকায় শিক্ষক হিসেবে সমধিক পরিচিত। অত্যন্ত সৎ ও বিনয়ী হওয়ায় এলাকায় তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

গোলাম রাব্বানীর একমাত্র ছোট ভাই গোলাম রুহানী (সবুজ) ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার মনোনীত হয়েছেন। এর আগে তিনি ৩৪তম বিসিএসে আনসার ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।