প্রটোকল নয়, ইতিবাচক কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে!

প্রটোকল নয়, ইতিবাচক কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাকসু নবনির্বাচিত (জিএস) গোলাম রাব্বানী।
তিনি এক পোষ্টে বলেন, জানি বহুদিনের অভ্যাস, পরিবর্তন করতে সময় লাগবে, কষ্ট হবে। তবুও সময়ের প্রয়োজনেএই পরিবর্তনগুলো আবশ্যক, নাহলে নেতৃত্বের দৌড়ে পিছিয়ে যাবে নিশ্চিত...
তোমরা যারা বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃত্ব প্রত্যাশী, তোমাদের সংশ্লিষ্ট
ইউনিটে সাংগঠনিক অবস্থান, কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা, এবং অন্যান্য মানবিক গুণাবলী বিবেচনায় নিয়ে পদ দেয়া হবে। অনুসারী আমার পিছনে কে কতদিন ঘুরলা, আমার হল বা বাসার নিচে কত ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলা, কত বড় লম্বা লাইন দিয়ে আমাকে সালাম দিলা, বাইক নিয়ে আমাকে কত মাইল প্রটোকল দিলে সেটা একদমই বিবেচ্য হবে না!
বরং, এটা আমি সত্যি অপছন্দ করি, খুব বিরক্ত হই... একদিন আমি তোমার জায়গায় ছিলাম, আজ সময়ের ব্যবধানে আমি এখানে, কাল তোমাদের মধ্যেই কেউ আমার স্থানে আসবে। সুতরাং 'তোমার' আর 'আমার' মাঝে পার্থক্য সামান্যই, সংগঠনের বড় ভাই হিসেবে প্রাপ্য সম্মানটুকু দিলেই চলবে, দৃষ্টিকটু ভাবে লাইন দিয়ে সালাম দেয়া, পিছন পিছন দৌড়ঝাঁপ করা মোটেও কাম্য নয়।
তোমরা যারা নেতা হতে চাও, পর্যাপ্ত পরিমানে আত্মমর্যাদাবোধ ও ব্যাক্তিত্ববোধ তোমাদের থাকা উচিত বলে আমি মনে করি, অন্তত আমার অনুসারীদের মাঝে আমি সেই ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন দেখতে চাই।
ফের বলছি, আমার মন জয় করতে হলে ইতিবাচক কাজ, সাংগঠনিক অবস্থান ও তোমার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে করতে হবে, আমি না চিনলেও সমস্যা নাই... এমন কাজ করো যেন তোমার নামটা এমনিতেই কানে এসে বাজে।
আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখে... বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়!
আমি মিন ইট!!