৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্যে পেল ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী !

পুলিশের ভাতিজা পরিচয় দিয়ে প্রথমে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাটোর থেকে নেত্রকোনা কেন্দুয়ায় এনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ। এ ঘটনায় লিটন মিয়া ও তার বন্ধু সাইদুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেছে স্কুলছাত্রী।
গত সোমবার বিকেলে লিটন ও তার বন্ধু সাইদুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য স্কুলছাত্রীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কেন্দুয়ার দ্বিগর সহিলাটি গ্রামের লিটন মিয়া দুই মাস আগে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের কথা বলে গত ২ মার্চ তাকে মোবাইল ফোনে তার নিজ এলাকায় আসতে বলে। ছাত্রীটি ওই দিনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
ওই দিন রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহের ব্রিজ এলাকা থেকে ছাত্রীকে নিয়ে বাড়িতে আনার কথা বলে রওনা দেয় লিটন। এ সময় ছাত্রীর সন্দেহ হলে লিটন নিজেকে এসআই শাহজাহান কবীরের ভাতিজা পরিচয় দেয়। পরে রাত প্রায় ১১টার দিকে নিজেদের বাড়ির পেছনে বন্ধু সাইদুলকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওসি আরও জানান, ধর্ষণের পর ছাত্রীকে লিটন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাটি অবহিত হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ লিটনকে গ্রেপ্তার করে। পরে লিটনের বন্ধু সাইদুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।