সাবেকদের অসহযোগিতায় থমকে আছে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি!

সাবেকদের অসহযোগিতার কারণে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারছেনা বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের ২৯ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আড়াই মাস পর গত ৩১ শে জুলাই রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি আর সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও সাদ্দাম হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ১০১ সদস্যের। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেতে দৌড় ঝাঁপ চলছে, পদ প্রত্যাশীদের নিয়মতি আড্ডা ও মহড়া চলছে মধুর ক্যান্টিন ঘিরে।একই সাথে সর্বত্র ঝড় বইছে চায়ের কাপে আলোচনা সমালোচনার কখন হবে ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, কমিটি সংগঠনটির বর্তমান কমিটির সর্বোচ্চ দুটি পদের নাম ঘোষণার পর একবছর চলে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। বর্তমান কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাইলেও সাবেকদের অসহযোগিতার কারণে আটকে আছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনের পর কমিটি ঘোষণার নিয়ম থাকলেও শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে সময় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছর ৩১ জুলাই শেখ হাসিনা অর্পিত ক্ষমতাবলে মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২ বছরের জন্য ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১১ (খ) ও (গ) ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যকাল দুই বছর। এর মধ্যে সম্মেলন না হলে কমিটির কার্যকারিতা থাকবে না। সেই হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি এরই মধ্যে নির্ধারিত সময়ের একটা অংশ পার করে ফেলেছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই।
কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে বলে বারবার মিডিয়াকে বলা হলেও এখনো করতে পারেনি। পূর্ণাঙ্গ কমিটির করার ক্ষেত্রে বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে পদপদবি নিয়ে চলছে টানা-হেঁচড়া। বর্তমান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে গেলেও হোচট খেতে হয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ ও বর্তমান কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কারণে। মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তাদের অনুসারীদের পদপদবিতে বসাতে চাচ্ছেন। এমনকি বর্তমান কমিটির ওপরও চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন তারা।
এসম্পর্কে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, সাবেকদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণে কমিটি বিলম্ব হচ্ছে, বর্তমান কমিটি সভাপতি শোভন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী কমিটি দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছে, সাবেক নেতাদের অসযোগিতার কারণে কমিটি করতে হচ্ছে না। আশা করি দ্রুত কমিটি দিয়ে দিবে।