ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


সম্রাট গুরুতর অসুস্থ, দরকার উন্নত চিকিৎসা!


২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:১৯

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ২৩:৪৬

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে যেতে হবে বলে সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য ।


এছাড়াও কাকরাইলের রাজমণি সিনেমা হলের সামনে ভূঁইয়া ম্যানশনে ওই কার্যালয়ের ভেতরে থাকা একাধিক যুবলীগ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে যেতে হবে বলে জানান তারা। এছাড়া সম্রাট গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন সময় দেশ এবং দেশের বাহিরে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের দেশ ত্যাগ ঠেকাতে সবকটি বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ সদরদফতর থেকে সংশ্লিষ্ট শাখায় এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।


যশোরের বেনাপোল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ দুই বন্দরে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কোনোভাবেই যাতে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারেন সে জন্য বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেছে।


অন্যদিকে ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতার হয়েছে কিনা শিগগিরই জানা যাবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন।


শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি একথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, খুব শিগগিরই দেখবেন।’

তিনি বলেন, ‘তার (সম্রাট) সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছুই বলছেন, সে সম্রাটই হোক আর যে-ই হোক, অপরাধ করলে আইনের আওতায় আনা হবে।’

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান র‍্যাবই পরিচালনা করবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু অভিযানটি র‍্যাব শুরু করেছে, তাই তারাই অভিযান চালাবে।’

তবে অভিযানে অযথা কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানান তিনি।

 

প্রসঙ্গত ,সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।

এর পর গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। আড়ালে থেকেই গ্রেফতার থেকে বাঁচতে নানা তৎপরতা শুরু করেন। ফন্দিফিকির শুরু করেন কীভাবে নিজেকে বাঁচানো যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চ মহলের ‘গ্রিন সিগন্যালের’ অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্যাসিনো সম্রাটের অবস্থান নিয়ে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। খালেদের পর সম্রাটের গ্রেফতারের গুঞ্জন ছিল। কিন্তু এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় একেকজন একেক ধরনের কথা বলছেন।