এমপির যড়যন্ত্রের শিকার যুবলীগ নেতা মাকসুদ!

ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান । তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোষ্টে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলন, বর্তমান বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমার নামে মিথ্যা সংবাদ করিয়ে কোন লাভ নেই, আমি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজপথের দুঃসময়ের দূর্দিনের কর্মী,একজন এমপি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে,মিথ্যা নিউজ করে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি ফেসুকে আরো মন্তব্য করেন, ১৯৯৪ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঢাকার রাজপথে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সতের বছর। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আট বছর। দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে সংগঠনের জন্য কাজ করছি। কোন অন্যায় করিনি,অন্যায় কে প্রশ্রয় দেইনি। আমরা যারা নেত্রীর রাজপথের কর্মী,আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রাজপথ থেকে সরাতে পারবে না। একজন এমপি বিগত সময়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করিয়েছে। গত পরশু দৈনিক প্রথম আলো, গত কাল কালের কন্ঠ, আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় খুবই বাজে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ করিয়েছেন। আগামীকাল আবার যুগান্তর পত্রিকায় নিউজ করাচ্ছেন। সকলের কাছে অনুরোধ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিকদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
ফেইসবুক ভাইয়েরা আপনারা যারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন,ওই এমপি ঘোষণা দিয়েছেন মিথ্যা নিউজের মাধ্যমে আমাকে গ্রেফতার করাবেন।ঢাকার রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে যারা আমাকে চিনেন, তারা যানেন আমি জীবনে কোন ক্লাবে যাইনি,ক্যাসিনোর সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। গত কয়েকদিন জাতীয় পত্রিকায় সেলিম প্রধান, জিকে শামীম ও খালিদের সহযোগী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট নিউজ ছাপা হচ্ছে। এদের কারো সাথে আমার কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা সম্পৃক্ততা নেই।
২০০১ সালের পর বহুবার রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবরন করেছি।বহুবার গুরুতর আহত হয়েছি, নেত্রী ২০০৪ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে দেখতে এসেছেন খোজ খবর নিয়েছেন। ২০০৭ সালের ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের সময় প্রিয় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে রাস্ট্রদ্রোহি মামলার আসামী ছিলাম, রাজপথ থেকে সরিনি। যৌথ বাহিনী বহুবার চেষ্টা করেছে গ্রেফতার করতে।জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল
আজ আমার মমতাময়ী নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। কে সরাবে রাজপথ থেকে। যুবসমাজের নন্দিত নেতা যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ঢাকার লক্ষ লক্ষ যুবকের আস্থার ঠিকানা ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি প্রিয়নেত্রীর রাজপথের কর্মী,প্রিয়নেত্রীর সকল কর্মসূচী সফল ভাবে পালনের জন্য কাজ করি।
আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশিত হতেই পারে।
আত্নবিশ্বাস আছে ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। ষড়যন্ত্র আগেও বহুবার হয়েছে,এখনো চলছে। বেঈমান যারা তারা হারিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ আমাদের জয় হবেই। কারন প্রানের নেত্রী তৃনমুলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের খুবই ভালবাসেন।