ছেলে কষ্ট পাবে বলে জীবনে তার গায়ে হাত দিইনি

এলাকাবাসী তাদের প্রিয় আবরারকে চোখের জলে শেষ বিদায় জানিয়েছেন। গ্রামের সবাই আবরারদের দুই ভাইকে চিনত, স্নেহ করত। আর কখনো রায়ডাঙ্গায় আসবেন না আববার ফাহাদ। তাই নিজ গ্রামে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জানাজা শেষে এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেন। তারা মানববন্ধন ও সমাবেশে ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ জানান।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় শহরের পিটিআই রোডের বাসায় প্রিয় ছেলের মরদেহ নিয়ে ফেরেন বাবা বরকত উল্লাহ। ফজরের নামাজ শেষে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজের আগে আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘সিসি ফুটেজে দেখা গেছে কারা হত্যার সাথে জড়িত। হত্যার পর আমার ছেলের মরদেহ ফেলার আগে তারা দুই থেকে তিনবার বাইরে আনে আবার ভেতরে নিয়ে যায়। মামলা হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে খুনিরা। এখন দ্রুত সাজা কার্যকর চাই।’
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সারা দেহে থাকা আঘাতের চিহ্ন বলে দেয় নির্মমভাবে তাকে পেটানো হয়েছে। আমার ছেলে বাঁচার আকুতি জানিয়েও রক্ষা পায়নি। ছেলে কষ্ট পাবে বলে জীবনে তার গায়ে হাত দিইনি, আর সেই ছেলেকে মরতে হলো এমনভাবে। এ কষ্ট সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।’
দাদা আব্দুল গফুর বিশ্বাস বলেন, ‘আমার নাতিকে যারা শিবির বানাতে চায় তাদের উদ্দেশে বলব, ৭০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ করে আসছি। আমরা কোনো হাইব্রিড আওয়ামী লীগ না। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, তার পরিবারকে ভালোবাসি।’