সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী
রূপগঞ্জের ইউএনও মমতাজের মমতা পেয়ে প্রফুল্ল খয়তুন নেছা

মানুষ সারা জীবন তাকেই মনে রাখে যিনি মানুষের জন্য কিছু করেন। একটি সুন্দর স্বপ্ন হতে পারে, মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা ও সহযোগিতার সৌন্দর্য উপলব্ধি করা। দাঁড়াতে পারি বিপদে মানুষের পাশে এবং পারি মানবতার পাশে এসে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে।ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত গানের মতোই-মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য,একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না,ও বন্ধু। মানুষের পাশে দলমত, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার এগিয়ে আসা জরুরি।
ধর্ম-বর্ণ- দলমত, নির্বিশেষে সবার পাশে সব সময় এমনই একজন এগিয়ে আসেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম ।
জানা যায়, খয়তুন নেছা (৭৫) স্বামী- মৃত ছাদেম আলী বেপারী, গ্রাম- ছনপাড়া, কায়েতপাড়া, আর্থিক সাহায্যের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মমতাজ বেগমের দপ্তরে আসেন। মহিলার পায়ের হাড় ভাঙ্গা থাকায় চলাচল অক্ষম এই মহিলা অন্যের কাঁধে ভর করে অফিসে আসেন। মানবিক খ্যাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মমতাজ বেগম তৎক্ষনিকভাবে নিজ অর্থয়নে খয়তুন নেছাকে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন এবং তার চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য আনার চেষ্টা করেন।
হুইল চেয়ারটি পেয়ে খয়তুন নেছা মমতাজ বেগম এর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন এবং হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যান। এসময় তিনি নির্বাহী অফিসার মমতাজের মমতা পেয়ে খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, মানুষের বিপদের সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত। একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে যদি একটি প্রাণ বাঁচে; একজন মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে—তাতেই হয়তো জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম আরো বলেন, একজন মানুষ, মানুষের জন্যই। বিপদে-আপদে, সমস্যা-সংকটে ছুটে এসে সাহায্য করবে—এমন প্রত্যাশা মানুষ মাত্রই করতে পারে। মানব জীবনের সম্পূর্ণতা আর তৃপ্তির জন্য সমাজের অসহায়-পীড়িতদের জন্য কিছু করা দরকার। আমাদের সবারই সুযোগ রয়েছে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার।
আমি, আপনি, সে এভাবেই এগিয়ে আসতে পারি সকলেই। দাঁড়াতে পারি বিপদে মানুষের পাশে।