ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২


নামের মিল থাকায় যড়যন্ত্রের ফাঁদে যুবলীগের মাকসুদ


১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২১

আপডেট:
১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:১৩

যুবলীগ নেতা মাকসুদুর রহমান মাকসুদ - খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার আপন ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মাসুদ

অন্যতম প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের আসন্ন কেন্দ্রীয় সম্মেলন ঘিরে এখন টানটান উত্তেজনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কারা আসবেন এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সারা দেশের উৎসুক নেতা-কর্মীরা গভীর কৌতূহলে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায়।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশাও তা-ই।যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন পাশাপাশি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সম্মেলন ঘিরেও রয়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য।

মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা চান নেতৃত্বে গুণগত পরিবর্তন। সেই লক্ষ্য নিয়েই পদপ্রত্যাশী নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

সূত্রমতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান আপসহীন নেতৃত্ব নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও যোগ্যদের নিয়ে দলকে ঢেলে সাজাতে চান শেখ হাসিনা। আর এজন্যই দলের ক্লিন ইমেজের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে টার্গেট নিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট।এনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৩ সালে মাকসুদুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যান শেখ হাসিনা।

এজন্য  শেখ হাসিনার দুর্দিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চালাচ্ছে প্রোপাগান্ডা। আর এই প্রোপাগান্ডার ফাঁদে ফেঁসে যাচ্ছেন শেখ হাসিনার দুর্দিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে পরিচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুর রহমান মাকসুদ !

জানা যায়, মাকসুর রহমান মাকসুদের বিরুদ্ধে অসত্য, ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে তাকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট ।

আর এ ফাঁদে পা দিয়েছে কিছু অসাধু সিন্ডিকেট।একের পর এক দৈনিক এবং অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে তাকে রাজনীনৈতিকভাবে হীন চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে মনে করেন দলের দুর্দিনের নেতাকর্মীরা।।

গোয়েন্দা সূত্রমতে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া মাকসুদ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।সেই মাকসুদ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ নয়,তিনি হলেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার আপন ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মাসুদ। খালেদের তথ্যের ভিত্তিতে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা একথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর সাথর একান্ত সাক্ষাৎ করেন যুবলীগ নেতা মাকসুদুর রহমান মাকসুদ

তিনি খালেদের সকল সকল ব্যবসা বানিজ্য দেখাশুনা করতেন ও ক্যাসিনোর ক্যাশিয়ার ছিলেন। এসম্পর্কে মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ বলেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূইয়ার আপন ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মাসুদ ভূইয়া।

আমি খালিদের ক্যাসিনো ক্যাশিয়ার হতে যাবো কেন? একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করেছি,এমবিএ পাশ করেছি। খালিদতো ছিল যুবলীগ দক্ষিণ এর সাংগঠনিক সম্পাদক। আমি ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর সাংগঠনিক সম্পাদক।

সাবেক ছাত্রনেতা ছিলাম,আমি তার ক্যাশিয়ার হতে যাবো কেন? সুস্পষ্ট ভাবে বলতে পারি ক্যাসিনো ক্যাশিয়ার হলো খালিদের আপন ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মাসুদ ভূইয়া। তার সাথে আমার কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা সম্পৃক্ততা নেই।

দৈনিক আমাদের দিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে জানা যায়,

মাকসুদুর রহমান মাকসুদ ১৯৯৩ সালে নবম শ্রেনীতে অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে পড়েন। এর পর ১৯৯৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়ে ঢাকার রাজপথে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯৯৮-২০০৩ (দেবাশীষ-স্বপন) কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

২০০৩-২০১১ (রিপন-সাঈদ) কমিটিতে সম্পাদক মন্ডলির সদস্য। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী ২০০৭-২০১১(রিপন-রোটন) কমিটিতে সহ সম্পাদক ছিলেন এই নেতা। ২০০১ সালের পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বহুবার মিথ্যা মামলার শিকার হয়। ২০০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী আওয়ামীলীগের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি।

১৩ ফেব্রুয়ারী পুরান ঢাকার সুমনা হাসপাতালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা হাসপাতালে দেখতে আসেন এবং চিকিৎসার খোজ খবর নেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে সম্পৃক্ত ছিলো সতের বছর। মাকসুদ বলেন,২০১১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আট বছর।

বর্তমানে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছি।দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে সংগঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন,আমার পিতা ছিলেন ১৯৬২ সাল থেকে আমিনাবাদ ইউনিয়ন বোর্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তখন আমার জন্মস্থান চরফ্যাশন উপজেলা ছিল না।

লালমোহন উপজেলার অধীনে ছিল চরফ্যাশন। চরফ্যাশন তিনটি ইউনিয়ন বোর্ডে বিভক্ত ছিল। ছিলেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, আদর্শবান স্কুল শিক্ষক। তিনি ১৯৯৫ সালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পিতার আদর্শে বড় হয়েছি। কখনো কোন অন্যায় করিনি,অন্যায় কে সমর্থন দেইনি। তিনি বলেন,আমরা যারা মমতাময়ী নেত্রী,মানবতার জননী রাস্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজপথের কর্মী,আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রাজপথ থেকে সরাতে পারবে না।

তিনি বলেন,গত কিছুদিন ধরে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায়,অনলাইন পত্রিকায় ও মিডিয়ায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ করা হয়েছে আমার সাংগঠনিক পোস্ট উল্লেখ্য করে। নামে নামে জমে টানার মতো অবস্থা।

সকলের কাছে অনুরোধ আমি পত্রিকার মাকসুদুর রহমান নই। পত্রিকায় যেই মাকসুদুর রহমান এর নাম ক্যাসিনো সংক্রান্ত বিষয়ে এসেনে তিনি খালিদের আপন ছোট ভাই। বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র কারীরা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজপথের তৃণমূলের পরীক্ষিত সৈনিকদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে যারা আমাকে চিনেন, তারা যানেন আমি জীবনে কোন ক্লাবে যাইনি,ক্যাসিনোর সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।

মুলত খালিদের আপন ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মাসুদ ভূইয়া এগুলোর সাথে সম্পৃক্ত। তিনি আরো বলেন,২০০৭ সালের ১/১১ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন আমার মায়ের মতো নেত্রীকে ১৬ জুলাই গ্রেফতার করা হয়, তখন সকাল ৬ ঘটিকার সময় আমার নেতৃত্বে রায়সাহেব বাজার মোড়ে প্রথম মিছিল হয়।

প্রিয়নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে রাস্ট্রদ্রোহি মামলার আসামী ছিলাম, রাজপথ থেকে সরিনি। যৌথ বাহিনী বহুবার চেষ্টা করেছে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল। কিন্তু স্থির ছিলাম নেত্রীর মুক্তি ছাড়া রাজপথ ছাড়বো না।

তিনি বলেন আমার আত্নবিশ্বাস আছে, ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। ষড়যন্ত্র আগেও বহুবার হয়েছে,এখনো চলছে। আমি একটি অভিজাত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। অন্য জনের নামের সাথে আমার নাম মিল আছে বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত নই। ইনশাআল্লাহ জয় হবেই। কারন আমি যাকে মায়ের মতো সন্মান করি মমতাময়ী জননী , বাঙালির গর্ব সফল প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তৃনমুলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের খুবই ভালবাসেন। ..