অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় খুন
চট্রগ্রামে বাবা-মেয়ে খুনের নেপথ্যে পরকীয়া: স্ত্রী ও প্রেমিক গ্রেফতার

নগরীর বন্দর থানাধীন নিমতলা এলাকায় বাসা থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্বার ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় প্রথমে মেয়েকে এবং পরে
বাসায় ফিরলে স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রী এবং তার প্রেমিক। প্রেমিক মইনুদ্দীনকে শনিবার রাতে নোয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। স্ত্রী হাসিনা আক্তারকে এর আগে গ্রেফতার করা হয়। তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে। রোববার সকালে সিএমপি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম।
কমিশনার জানান, নিহত ব্যক্তির প্রকৃত নাম আবু তাহের (৩৫)। পেশায় গুদাম শ্রমিক। তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার বিভিন্ন বাসায় বুয়ার কাজ করে। ওর সঙ্গে মইনুদ্দীন নামে স্থানীয় এক গুদাম শ্রমিক নেতার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। শনিবার সকালে আবু তাহের কাজে চলে গেলে মইনুদ্দীন তাদের বাসায় যায়। স্ত্রী হাসিনার সঙ্গে ওর শারীরিক সম্পর্ক মেয়ে বিবি ফাতেমা (৪) দেখে ফেলে। বাবা বাসায় ফিরলে তা বলে দেবে বলার পর মইনুদ্দীন শিশু ফাতেমার গলা চেপে ধরে ও মা গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করে।
এরপর তারা অপেক্ষা করতে থাকে। দুপুরে আবু তাহের বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দুজনে তাকে জাপটে ধরে এবং জবাই করে হত্যা করে। এরপর মইনুদ্দীন বের হয়ে নোয়াখালীতে চলে যায়। স্ত্রী হাসিনার কান্না ও চিৎকার শুনে লোকজন গিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানায়। পুলিশ শনিবারই স্ত্রী হাসিনা, তার বোন ও বোনের জামাইকে আটক করে। হাসিনার কাছ থেকে মইনুদ্দীনের অবস্থান জেনে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত আবু তাহেরের বাড়িও নোয়াখালী জেলার বসুরহাট উপজেলার চরকাঁকড়া গ্রামে।