ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


আবরার হত্যা: নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই চার্জশিট


২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:২২

আপডেট:
২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৭

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২২) পিটিয়ে হত্যা মামলার চার্জশিট তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান মিজানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

এজন্য গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে কারাগার থেকে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রিমান্ডে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার কাছে জানতে চেয়েছেন, কার নির্দেশে তিনি আবরারকে তাদের রুম (১০১১) থেকে ডেকে ২০১১ নম্বরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাকে শিবির হিসেবে কেন সন্দেহ করেছিলেন, তার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ ছিল কি না।

পাশাপাশি বিভিন্ন আসামির দেওয়া বক্তব্য তার মাধ্যমে যাচাই শুরু হয়েছে। তারা আরও জানান, আবরারের রুমমেট মিজান আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে রিমান্ডে না নিয়ে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে এ হত্যা মামলার অধিকাংশ আসামির জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য ও আট আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম এসেছে। এ কারণে তার ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য গতকাল শুক্রবার কারাগার থেকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেই পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, আবরারকে পিটিয়ে হত্যা মামলার তদন্তকাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ও এজাহারের বাইরে থাকা আট আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই আবরার হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। ইতিমধ্যে চার্জশিট তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়া পথে। তিনি বলেন, আরও কিছু সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি। এ ছাড়া এজাহারভুক্ত তিন আসামিসহ পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জিজ্ঞাসাবাদকারী ডিবির অপর এক কর্মকর্তা জানান, আবরারের রুমমেট ছিলেন মিজান। তিনিই প্রথম আবরারকে ‘শিবির’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতার কাছে। তারপর থেকেই আবরার শিবিরকর্মী হিসেবে পরিচিতি পায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কাছে। তিনি কেন ও কোন উদ্দেশ্যে এসব তথ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন তার কাছে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। যদিও এই হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এখনো আবরারের শিবির সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য-প্রমাণ পাননি বলে জানিয়েছেন।