ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


টাইগারদের দিল্লি জয়


৪ নভেম্বর ২০১৯ ১১:০৫

আপডেট:
৮ মে ২০২৫ ১৮:৪৩

ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে মধুর জয় এসেছে অনেক। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে প্রতিবেশী দেশটিকে কখনো হারাতে পারেনি টাইগাররা। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ১ রানের ট্রাজিক হার। ২০১৮ সালে নিদাহাস টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালটাও কি কম যন্ত্রণার? শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দিনেশ কার্তিক মুঠো থেকে বের করে নিলেন ম্যাচটা।

আগের ৮ বারের দেখায় যে ভারত হেসেছিল প্রতিবারই, সেই দলটাকে নবম দেখায় হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। সেটিও কিনা তাদেরই মাঠে। দিল্লি জয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের ভারত মিশন। বাংলাদেশের জয়টা ৭ উইকেটের।

রবিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে বোলিং বেছে নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ভারত আটকে যায় ৬ উইকেটে ১৪৮ রানে। বাংলাদেশ ৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে। উইনিং রান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ছক্কায়। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে লিটন দাসকে হারানো বাদে সারাক্ষণই বাংলাদেশের ব্যাটিং আশা দেখিয়েছে। অভিষিক্ত নাঈম শেখের খেলা দেখে তো মনেই হয়নি প্রথম ম্যাচটা খেলছেন তিনি। তার বিদায়ের পর সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম এগিয়ে নিয়েছেন দলকে। তৃতীয় উইকেটে এই দুজনের জুটি ৬০ রানের।

১৭তম ওভারের শেষ বলে খলিল আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য, বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৩৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন তিনি। মুশফিকের সঙ্গে জুটির আগে নাঈমের সঙ্গে সৌম্যর জুটিটি ছিল ৪৬ রানের। যুজবেন্দ্র চাহালের শিকার হয়ে ফেরার আগে নাঈম ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৬ রান।

সৌম্যর বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ ৩ ওভারে ৩৫ রানের সমীকরণ ছিল তাদের সামনে। চাহালের করা ১৮তম ওভারে ১৩ রান নেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। ১৯ তম ওভারে বাংলাদেশ তুলে ১৮ রান। খলিল আহমেদের শেষ চার বলে চারটি চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান মুশফিক।

শেষ ওভারে ৪ রানের সমীকরণ মেলানো আর কঠিন কিছু ছিল না টাইগারদের জন্য। কিন্তু সেই যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেঙ্গালুরু ম্যাচ, সেই ম্যাচটা ভয় দেখাচ্ছিল। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ আর পুরোনো ভুল করেননি।

মুশফিক ৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থেকে যান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার চতুর্থ ফিফটি। ম্যাচসেরাও তিনি। মাহমুদউল্লাহ ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে বোলিংয়েও ছিল বাংলাদেশের দাপট। এই ম্যাচ জয়ের অর্ধেকের বেশি কাজটা আসলে করে দিয়েছিলেন আসলে তারাই। মোট ৮ জন বোলার ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সবচেয়ে সফল সেখানে পেসার শফিউল ইসলাম ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। দুজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আফিফ হোসেন পেয়েছেন একটি। অন্যটি মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের কম্বিনেশন রান আউট।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে। রিশভ পন্ত ২৭, শ্রেয়াস আয়ার ২২, লোকেশ রাহুল ১৫, ক্রনাল পান্ডিয়া অপরাজিত ১৫ ও ওয়াশিংটন সুন্দর অপরাজিত ১৪ রান করেন।

ভারত আটকে যেতে পারত আরো কম রানে। কিন্তু শেষ ২ ওভারে ৩০ রান তুলেছে দলটি। তাতেই লক্ষ্যটা তাদের দেড় শ ছুঁই ছুঁই হয়েছিল।

একদিকে নিষিদ্ধ হয়ে সাকিব আল হাসান নেই। নেই তামিম ইকবাল। এর মধ্যে দিল্লির দূষণ ভয়ের কারণে হয়ে সামনে এসেছিল। সব জয় করেই বাংলাদেশ এদিন মধুর জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। অস্থির সময় কাটিয়ে বাংলাদেশও কি পেল আলোর রেখা?