ক্লিন ইমেজ,দক্ষ সংগঠক, জনপ্রিয়তা, দলের প্রতি ত্যাগ
মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি ঘিরে আলোচনায় রিপন- ইসহাক

হৃৎপিণ্ড’ খ্যাত ঢাকা মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে আসছে নতুন মুখ- এমন আভাস দিয়েছেন দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক। এক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নীতিনির্ধারকরা আরও জানান, ঢাকা মহানগর নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। বিগত তিন বছরে নেতাকর্মীদের সার্বিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সন্তোষজনক ছিল না।
এর মধ্যে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ততা, চাঁদা ও টেন্ডারবাজি, অনুপ্রবেশকারী, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে ঢুকানোসহ নেতাদের নানা অপকর্মের সঙ্গে জাড়িত থাকার অভিযোগ হাইকমান্ডের হাতে।
এসব বিষয় বিবেচনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে ঢাকার মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিতে।
তাই শীর্ষ পদে নতুন দুই মুখ আসছেন তা নিশ্চিত। শীর্ষ পদ অর্জন করতে পদপ্রত্যাশীরা যে যার মত করে নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করছেন। অতীতে দলের জন্য অবদান ও বর্তমানে সাংগঠনিক কাজের দক্ষতা তুলে ধরছেন। এ নিয়ে ব্যস্ততা ও টেনশনের মধ্যে সময় কাটছে পদপ্রত্যাশীদের।
১১ নভেম্বার ঢাকা দক্ষিণ ও ১২ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি মহানগর দুইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের আলোচনায় রয়েছেন-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, তিনি এগিয়ে আছেন। তাছাড়া বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক ওমর ফারুক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার।
এর মধ্যে, কামরুল হাসান রিপন একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে এগিয়ে আছেন। তাছাড়া তৎকালিন বিএনপি জামাআত সরকারের আমলে বার বার নির্যাতন শিকার ও কারাগারে ছিলেন।তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুমনা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। মাঠ পর্যায়ে একজন কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এদিকে,ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের আলোচনা রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া এবং বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল।
অন্যদিকে,আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে, দুর্নীতির সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাদের নাম আসায় অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব আনার প্রক্রিয়া খুব বিচার বিশ্লেষনের মধ্য দিয়ে যাবে। অতীতে এসব বিষয় বিবেচনায় থাকলেও এবার সেই প্রক্রিয়া হবে খুবই তীক্ষ্ম।