পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ স্থগিসসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে শুরু হওয়া বৈঠক শেষে রাত পৌনে ১টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকের পর রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠকে বাস-ট্রাক কাভার্ডভ্যানসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনার ভিত্তিতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ বৃহষ্পতিবার থেকে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক নেতারাও ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান।
মন্ত্রী আরো জানান, লাইসেন্স নবায়নসহ চালকদেরকে আগামি জুন মাস পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যারা হালকা লাইসেন্স দিয়ে ভারি যানবাহন চালান; তাদের আগামি জুন মাসের মধ্যে আপডেট করে নিতে হবে।
এছাড়া চারগুণ জরিমনার বিষয়ে যোগযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর আইন সংশোধনের বিষয়ে যেখানে যেখানে ঐক্য পরিষদের আপত্তি আছে সেগুলা? লিখিত আকারে দেয়ার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। পরে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রীকে দেয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রুস্তম আলী খান, সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মুকবুল আহম্মেদ, যুগ্ম সদস্য সচিব তালুকদার মো. মনির। বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক-এনায়েত উল্লাহ খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ট্রাক ও পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন। রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়ও যান চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন রুটেও গণপরিবহন বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এর সুরাহায় মঙ্গলবার রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রমিক ও মালিকদের একটি বৈঠক হয়।