ঢাকা শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


হলি আর্টিজানে হামলা মামলার রায় কাল


২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৫৪

আপডেট:
৯ মে ২০২৫ ০২:৫৮

আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার রায় আগামীকাল ২৭ নভেম্বর। এ মামলার রায় ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সবাই কারাগারে বন্দি রয়েছে। বাইরে থাকা জেএমবি ও নব্য জেএমবির সদস্যরা যেন কোনো হামলা বা অঘটন ঘটাতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রাজধানী
ঢাকায় বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইতোমধ্যে জেএমবি, হিজবুত তাহরির ও নব্য জেএমবির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ধরা পড়েছে। বাকিদের অবস্থান ও কর্মকাÐ নজরদারি চলছে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, জঙ্গিরা এ ধরনের বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে সারা বিশে^ই বিভিন্ন সময়ে তাদের শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশেও তারা শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করতে পারে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। এই ঘটনার দিন ভোরে গুলশানের হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত হয় পাঁচজন।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিদের কিছু ছোট সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। সেগুলোর ওপর আমাদের নজরদারি রয়েছে।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) বলেন, চাঞ্চল্যকর এই জঙ্গি হামলা ২০১৬ সালের ১ জুলাই মধ্যরাতে ঘটে। একইদিন গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২৮১/১৮ নম্বর মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত করেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার আর দুজনকে পলাতক দেখানো হয়েছিল। এরপর পরে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তা ছাড়া মামলায় মোট ২১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।
কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ আগস্ট এই আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একই বছরের ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রের ২১ জন আসামির মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে মারা যায়। পরে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।