চলতি বছর ১৮ ডিসেম্বরই তফসিল ঘোষণা
ঢাকার দুই সিটির ভোট ৩০ জানুয়ারি!

আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছুটা অনীহা থাকলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩০ জানুয়ারি ভোট করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। ইসির গুরুত্বপূর্ণ এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছর ১৮ ডিসেম্বরই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্যও জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দুই সিটির ভোট করতে চায় ইসি। ১৬ ডিসেম্বরের পর তফসিল হবে। গত ৩ নভেম্বর কমিশন সভায় জানুয়ারিতেই এ দুই সিটির ভোটের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ১৫ নভেম্বর ঢাকা উত্তর ও ১৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপযোগী হবে।
এরপর যেকোনো সময় তফসিল হবে। জানুয়ারি মাসের একই দিনে দুই সিটির ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ডিসেম্বরে জেএসসি, পিইসি ও বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা এবং ফেব্রম্নয়ারি ও পরবর্তী সময়ে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মধ্য জানুয়ারির পর ভোটের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় ইসির অবস্থানে কিছুটা পরিবর্তন আসে। সরকারি দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন, দলের প্রধান শাখা হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের কারণে নির্বাচন কিছুটা পেছানোর পরামর্শ আসে সরকারের তরফ থেকে। পরে সার্বিক দিক বিবেচনা করে কমিশন ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল তিন সিটিতে ভোট হয়। এরপর ঢাকা উত্তরে ২০১৫ সালের ১৪ মে, দক্ষিণে ১৭ মে এবং চট্টগ্রাম সিটিতে ৬ আগস্ট প্রথম সভা হয়। এ হিসাবে ঢাকা উত্তরের ২০২০ সালের ১৩ মে, দক্ষিণের ১৬ মে এবং চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ৫ আগস্ট। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এদিকে দুই সিটির সম্প্রসারিত ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিতসহ ৪৮ জন কাউন্সিলর একসঙ্গে ভোট না করতে সময় চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছেন। তাদের দাবি, পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও এক বছরও কাজ করতে পারেননি তারা। তাই এখন ভোট না দিয়ে কাজ করার পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।
ইসি সচিবালয় মনে করছে, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ভোটগ্রহণে বিঘ্ন ঘটবে না। কোনো কাউন্সিলরের মেয়াদের ওপর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ নির্ভর করে না। মেয়াদ গণনা হয় করপোরেশনের প্রথম সভার দিন থেকেই।