ঢাকা শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


ছাত্রলীগের সম্মেলন ফেব্রুয়ারীতে!


২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:০৮

আপডেট:
২ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৫৮

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ফ্রেব্রুয়ারীতে হতে পারে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সম্মেলনের এই সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে কমিটি চালাতে নারাজ। তিনি খুব দ্রুত সম্মেলন আয়োজন করার জন্য জয়- লেখককে নির্দেশ দিবেন। আরো জানা যায়, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দিয়ে মুজিব বর্ষ উৎযাপন করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইতিমধ্যেই ছাত্রলীগের অনেক নেতা নিজেদের সিভি নিয়ে  আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে যাওয়া আসা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর  ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।।

শোভনের স্থলে এক নম্বর ভাইস প্রসিডেন্ট আল নাহিয়ান খান জয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রব্বানীর স্থলে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পায়। এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি বলেছেন, নতুনভাবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছাত্রলীগের পরবর্তী কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নিবেন। সেই সঙ্গে আগের কমিটিও বহাল থাকবে।

নতুন সম্মেলন কেন্দ্র করে ছাত্রলীগে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়। ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে মাঠের রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন সরগরম। এরই মধ্যে সম্মেলনের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে। তারা কাঙ্ক্ষিত পদ পেতে এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

রেওয়াজ অনুযায়ী জাতীয় সম্মেলনের আগেই ঘোষণা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন। দেওয়া হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনও।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ ও ১২ মে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে অনেক বিলম্ব করা হয়। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর শুরু হয় নতুন সংকট। কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, রাজাকারের সন্তান, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের স্থান দেওয়াকে কেন্দ্র করে একাধিক সংঘর্ষ হয়। ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয় লাগাতার আন্দোলন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৯৯ জনই বিতর্কি-অযোগ্য দেখিয়ে তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনেরই কিছু নেতাকর্মী। এমন প্রেক্ষিতে গত ১৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ত্যাগীদের অন্তর্ভুক্ত করে ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের প্রায় চার মাস পার হলেও ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ ও বিতর্কের সমাধান হয়নি।এর পরেই দায়িত্ব থেকে শোভন রাব্বানীকে সরিয়ে জয়-লেখকে দেন।

জয় লেখক দায়িত্বে আসার পরে তারা এখনও বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় নেতাদের বুঝিয়ে দিতে পারেননি। যেটি ছাত্রলীগের একটি সংস্কৃতি বিভিন্ন জেলা ভাগ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া।