ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


স্বপন রায়ের বন্ধুরা বলেন, প্রথম বর্ষ থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে স্বপন বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। ক্যাম্পাসে ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নেতার বাইক ছিনতাই, থানায় মামলা


৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:১২

আপডেট:
৩ মে ২০২৫ ০৮:২১

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ শাখার এক নেতাকে মারধর করে তার বাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোররাতে জগন্নাথ হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম সনেট মাহমুদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ শাখার সভাপতি।

মামলায় অভিযুক্ত আসামী স্বপন রায়। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভবনের বাসিন্দা। স্বপন জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলায়।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে সনেট মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছিলেন। এসময় একটি ছেলে তাকে এসে কোনদিকে যাবেন জিজ্ঞাসা করে। সনেট মাহমুদ সেই ছেলের পরিচয় জানতে চাইলে সে নিজেকে স্বপন নাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়। এর পর সে জগন্নাথ হলের সামনে বাইকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য সনেটকে অনুরোধ করে। সনেট মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই হিসেবে তাকে নামিয়ে দিতে যান। জগন্নাথ হলের সামনে গেলেই স্বপন তার বাইকের চাবি নিয়ে নেয়। সনেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখালে সেটিও নিয়ে নেয় এবং মারধর করে। মারধরের ফলে সনেট মাহমুদের একটি দাঁত ও চশমা ভেঙ্গে যায়।
ঘটনার বিষয়ে সনেট মাহমুদ  বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে ডেকে নিয়ে গেছে। আমি তাকে চিনি না।আমার বাইকটি এখনও পায়নি। আমি মামলা করেছি। ন্যায় বিচার চাই।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বপন রায়কে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে মামলা হওয়ার আগে স্বপন  বলেন, ‘সনেট মাহমুদ তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। এজন্য হলের সামনে নিয়ে তাকে মারধর করেছে।’ সনেট তার পূর্বপরিচিত ছিল কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পূর্বপরিচিত ছিল না।’

তবে স্বপন রায়ের বন্ধুরা জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষ থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে স্বপন বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। ক্যাম্পাসে ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে তার সখ্যতা রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী  বলেন, ‘কোনো অপরাধ হলে আইনগত ব্যবস্থা হবে, সেটিই স্বাভাবিক।’

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। বাইকটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’