ঢাকা শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২


আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন

সাধারণ সম্পাদক হলে ছাড়তে হবে মন্ত্রিত্ব


১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৩০

আপডেট:
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৩২

 

 সম্মেলনে থাকছে বড় চমক

 তুলনামূলক তরুণ ও গ্রহণযোগ্য নেতার হাতে উঠছে আওয়ামী লীগের পতাকা

 কোনো অপরাধীর স্থান মিলবে না নতুন কমিটিতে

সাধারণ সম্পাদক হলে ছাড়তে হবে মন্ত্রিত্ব

তৃণমূলে নেতাকর্মীদের কাছে কতটা জনপ্রিয়!

অন্তত এক ডজন কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।

কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো মন্ত্রীই সাধারণত দলটির সাধারণ সম্পাদক হলেও এবার তার ব্যতিক্রম দেখা যেতে পারে।

ক্ষমতাসীন দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন ২১তম জাতীয় সম্মেলনে মন্ত্রীর দায়িত্বে নেই এমন কেউই সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। আবার কোনো মন্ত্রীও সে দায়িত্ব পেলে তাকে ছেড়ে দিতে হবে মন্ত্রিত্ব।

এদিকে ২০-২১ ডিসেম্বরের আওয়ামী লীগের জাতীয় ত্রিবার্ষিক এ সম্মেলনে কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে নেতাকর্মীদের কৌতূহলের মাত্রা বেড়েই চলেছে। সম্মেলনের বাকি মাত্র ৯ দিন কিন্তু কে আসছেন দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ পদে তা জানেন না কোনো কেন্দ্রীয় নেতা। এ বিষয়ে কোনো ধারণাও দিতে পারছেন না তাদের কেউ।

তবে গুঞ্জন আছে ওবায়দুল কাদের, ড. আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আবদুর রহমানসহ সম্পাদকমণ্ডলীর অন্তত ছয় নেতাকে নিয়ে, যারা হতে পারেন দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক।

দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা  বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ জানেন না কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, এ পদের নেতা কে হবেন এখন পর্যন্ত চ‚ড়ান্ত হয়নি। তবে এ পদের জন্য যোগ্য কে– তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ পর্যালোচনায় কখনো কেউ এগিয়ে যাচ্ছেন, আবার পিছিয়েও যাচ্ছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান  বলেন, কে হবেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক সে সম্পর্কে দলের ভেতরে কারও কোনো ধারণা নেই। তিনি বলেন, তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্য থেকেই নির্বাচিত হবেন সাধারণ সম্পাদক। বাইরের কারও এ পদে আসার সম্ভাবনা নেই।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য  বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্য থেকেই নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। এটা আওয়ামী লীগের এক ধরনের রীতি। কেন্দ্রীয় নেতাদের বাইরে থেকে এ দলে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৃষ্টান্ত নেই।

তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্বে নেই এমন কেউই দলের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। আবার কোনো মন্ত্রীও সে দায়িত্ব পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাকে ছেড়ে দিতে হবে মন্ত্রীর দায়িত্ব। সভাপতিমণ্ডলীর ওই সদস্য বলেন, এবারের সাধারণ সম্পাদক যিনি হবেন তার ওপর দলের দায়িত্বই বেশি চাপিয়ে দেওয়া হবে। কারণ মন্ত্রী থাকলে দলের জন্য সময় দেওয়া কঠিন হতে পারে।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য  বলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর অন্তত ছয় নেতা নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার বিবেচনায় থাকা ওই নেতাদের নিয়েই পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সম্পাদকমণ্ডলীর ওই সদস্য বলেন, পর্যালোচনায় রাজনৈতিক দক্ষতা বেশি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের কাছে কতটা জনপ্রিয়, সম্পর্ক এটিও পর্যালোচনায় আছে। পর্যালোচনা চলছে বয়স নিয়েও। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চান সাধারণ সম্পাদক যিনি হবেন তার বয়স কমপক্ষে ষাট হওয়া জরুরি। বয়সের ভারিক্কি প্রয়োজন রয়েছে এ পদের জন্য। এসব বিবেচনায় আলোচনায় থাকা ছয় নেতার মধ্যে কেউ কেউ এগিয়ে-পিছিয়ে থাকছেন।

দলের সম্পাদকমণ্ডলীর আরেক সদস্য  বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বিবেচনাই প্রাধান্য পাচ্ছে। রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা, কতটা কর্মীবান্ধব ও রাজনীতিক এসব মিলিয়ে দেখছেন তিনি।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে পরামর্শ করেননি তিনি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ  বলেন, দলের জন্য, রাজনীতির জন্য যাকে প্রয়োজন শেখ হাসিনা তাকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করবেন। তিনি বলেন, কে আসছেন এ পদে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অন্তত এক ডজন কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। আমার জানামতে, কাউকে চ‚ড়ান্ত করা হয়নি।