আওয়ামী লীগ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যেকারণে রাজ্জাকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে মঙ্গলবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠক শেষে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত শনিবার দলের ২১তম সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মধ্যে ৪২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।
সেদিন শেখ হাসিনা জানান, দলের নবনির্বাচিত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি ৩৯ নেতা নির্বাচন করা হবে।
সে ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সভা শুরু হয়। রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত চলা সভায় শতাধিক নেতার রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে চুলচেরা বিশেস্নষণ হয় বলে সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা আমাদের দিনকে জানান।
তারা আরও জানান, সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের কাছ থেকে লিখিতভাবে সম্ভাব্য নেতাদের নাম নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সদস্যরা বলেছেন, এগুলো তাদের ‘সাজেশন’। চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগপ্রধান।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা গত কমিটি থেকে বাদ পড়া কয়েকজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজনকে নতুন কমিটিতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এনামুল হক শামীম ইকবাল হোসেন অপু ও আমিনুল ইসলাম আমিন। এ ছাড়া পরামর্শ এসেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদেরও নতুন কমিটিতে রাখার। পুরনো কোনো কোনো নেতাকে নতুন কমিটিতে রাখার ব্যাপারে নেতিবাচক আলোচনাও হয়েছে।
সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য আমাদের দিনকে বলেন, বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় থাকা ড. আবদুর রাজ্জাকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক হতে চেয়ে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ দিয়ে তদবির করানোর কারণে তার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সভা শেষে গণভবনের গেটে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের আরও জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আগামী ৩ জানুয়ারি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানেই যৌথ সভার মাধ্যমে নতুন কমিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।
তিনি জানান, বাকি পদগুলোতে নতুন মুখের পাশাপাশি পুরনোরাও থাকবেন। নতুন কমিটির পদ হারানো মন্ত্রীরা ৩৯ জনের তালিকায় জায়গা পাবেন কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। সভায় ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, সভার শুরুতে পরিচয় পর্বে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে বসে পড়তে গেলে শেখ হাসিনা তাদের বিস্তারিত কর্মকাণ্ড শুনতে চান। এরপর তারা দুজন আধা ঘণ্টা করে তাদের রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরেন।