ঢাকা শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২


সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান

কারও অবস্থাই ভালোর দিকে যাচ্ছে না


২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৫২

আপডেট:
৯ মে ২০২৫ ১৮:২৩

ডাকসুতে হামলার ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারও অবস্থাই ভালো নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান। তাদের সবারই অবস্থা অবনতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। বুধবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসাধীনদের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে এই দাবি করেন তিনি।

রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা মনে করি, শুধু মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য তুহিন ফারাবিকে বেডে নেওয়া হয়েছিল। তুহিন ফারাবির সঙ্কটাবস্থা এখনও কাটেনি। তার অবস্থা গুরুতর। আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সোহেলের অবস্থা বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই অবনতি হয়।

সোহেলের মাথায় প্রচণ্ড রকমের আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অপারেশনের মাধ্যমে যদি তার মাথার রক্ত অপসারণ করা না হতো তাহলে তার জীবন নাশের হুমকি ছিল। সোহেল এখন আইসিইউতে আছে।

তিনি আরও বলেন, নুর মাঝেমধ্যে বমি করছে, হাতে ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছে। রাত্রে ঘুমাতে পারছে না। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামের দুই চোখে প্রচণ্ড রকমের আঘাত করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া তার হাতে ও কোমরে প্রচণ্ড রকমের আঘাত রয়েছে। সে ঘুমাতে পারছে না। কিছু খেতেও পারছে না, বমি করে ফেলছে।

রাশেদ বলেন, সংগঠনের ঢাকা কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম। তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যথার যন্ত্রণায় সে ঠিকমত ঘুমাতে পারছে না। আমাদের সহযোদ্ধা মেহেদী হাসান। তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। সে কথাও বলতে পারছে। তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান। তার হাতের একটা শিরা আঘাতে ছিড়ে গেছে। তার বাম কানেও প্রচণ্ড আঘাত এর কারণে শুনতে পাচ্ছে না। তার অবস্থারও দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। ভিপি নুরের ছোটভাই আমিনুল ইসলামের অবস্থাও গুরুতর। সে এখনও পর্যন্ত কথা বলতে পারছে না। কাশতে গেলে তার রক্ত বমি হচ্ছে। তার অবস্থা অবনতির দিকে বলেও জানান রাশেদ।

এ সময় ঢাবি প্রক্টর ড. গোলাম রব্বানীর ‘মদদে’ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে আসলে ঘটনায় জড়িত ছিল কারা? প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর মদদে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সরানো হয়েছে। অথচ হামলার সময় পাঁচবার ফোন করেও প্রক্টরকে পাওয়া যায়নি। পরে তিনি ফোন রিসিভ করে গালাগালি শুরু করেন। শুরুতেই তিনি যদি এসে ব্যবস্থা নিতেন, এমন নির্মম হামলা করতে পারত না। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বেই ডাকসুর ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা হয়েছে দাবি করে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন রাশেদ।