মেয়র সাঈদ খোকনের ২০% কমিশন উল্লেখ করে,
মেয়র সাঈদ খোকনকে নিয়ে নাজমুলের বিস্ফোরক মন্তব্য!

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র সাঈদ খোকনকে উদ্দেশ্য করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোষ্টে এই মন্তব্য করেন।
মেয়র সাঈদ খোকন ২০% কমিশন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি করা মানুষটা পেটের তাগিদে ঠিকাদার বনে আপনাকে ২০% টাকা ঘুষ এবং অফিস ও অন্যান্য আবদার মিটিয়ে যখন কাজ শেষ করে বিল তোলার আগ মুহুর্তে তখন আপনি ভালো সাজার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে বিল আটকে দিয়ে আবার কাজ করিয়ে নিয়ে লাভ তো দুরের কথা সর্বশান্ত বানিয়ে দিয়েছেন তখন সেই মানুষটিও কেঁদেছে কিন্তু তার কান্না কেউ দেখতে পায়নি আর আপনি হাউমাউ করে কাঁদলেন আর শত শত কোটি টাকা কমিশন কামাতে যদি না পারেন এই আশংকায় ।
অতীতের কথা স্বরণ করিয়ে নাজমুল আরো বলেন, আপনি একটা বেঈমান মনে! আছে আপনার মেয়র মনোনয়নের কথা মনে আছে, আপনার কাকুতি মিনতি ফালতু বাটপার ভন্ড আপনি ! ওয়াকিটকি চুদান মেয়রের অফিস নাকি রাজমহল! বড় বড় কথা বলেন ,আল্লাহ কে হাজির নাজির বলে মিথ্যা বলতে বুক কাপেনা!
দলত্যাগের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ১/১১ তে ফেরদৌস কোরেশীর দলে গিয়েছিলেন
মাননীয় নেত্রী ক্ষমা করেছিলেন আমরা মেনে নিয়েছিলামকিন্তু মেয়র হয়ে গত ৫ বছরে যা করেছেন আল্লাহর গজব আপনার উপরে পড়বে।
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে এসে অঝোরে কাঁদলেন মেয়র সাঈদ খোকন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে সাংবাদিকদের সামনে দোয়া প্রার্থনা করে অঝোরে কেঁদেছেন।
সাংবাদিকদের সামনে সাঈদ খোকন বলেন, 'প্রিয় ঢাকাবাসী, আপনাদের প্রিয় নেতা আমার পিতা প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। পিতার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি, আজ আমার পিতা নেই, পিতা কে হারিয়েছি। পিতার অবর্তমানে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক।'
"আমার নেত্রী আমার জন্য যেটা ভালো মনে করবেন সেটাই করবেন।"
জীবনের কঠিন সময় পার করছেন জানিয়ে দক্ষিণের মেয়র বলেন, 'এই সাড়ে চার বছর, ঢাকা শহরে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে সক্ষম হয়েছি ইনশাআল্লাহ। ঢাকাবাসীর সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে পাশে ছিলাম। আমার রাজনৈতিক জীবনে একটা কঠিন সময়, এই কঠিন সময়ে ঢাকাবাসীকে আমি আহ্বান জানাই, আমার জন্য একটু দোয়া করবেন। আমি যাতে কামিয়াব হই।’
বাকি কাজ শেষ করতে পারার জন্য দোয়া চেয়ে খোকন বলেন, 'আপনাদের সুখে-দুঃখে যেভাবে ছিলাম সেভাবেই যাতে আপনাদের পাশে থাকতে পারি। অনেক কাজ করেছি, কিছুটা কাজ বাকি আছে সেই কাজগুলো যেন শেষ করে যেতে পারি।'
"আল্লাহকে হাজির-নাজির করে বলি, আমি কখনো কর্তব্যে অবহেলা করিনি। এই শহরের মানুষের জন্য এই কঠিন সময়ে ঢাকাবাসী, দেশবাসী যদি আমার পাশে দাঁড়ায়, আমি আপনাদের আগামী পাঁচ বছর আপনাদের পাশে থাকব।"
এর আগে আগামী মেয়র নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সাঈদ খোকন।
বুধবার থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্পোরেশনে চারজন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চারজন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।
মেয়র পদে ফরমের মুল্য রাখা হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া,বৃহস্পতিবার থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
ফরম বিতরণ চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
তিনি জানান, দুই সিটিতে ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট হবে। সম্পূর্ণ ভোটই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করা হবে। বিদ্যমান ভোটার তালিকায় ভোট নেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমের পাহারায় দু’জন করে সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। আর ২ জানুয়ারি এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।
চার বছর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন আনিসুল হক আর দক্ষিণে সাঈদ খোকন। ওই নির্বাচনে দু’জনেই জয়ী হন। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হক ইন্তেকাল করায় মেয়র পদটি শূন্য হয়। এরপর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর সিটির উপ-নির্বাচনে মেয়র হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।