আ.লীগের সমর্থনে ১২ বিতর্কিত কাউন্সিলর

ক্যাসিনোকান্ড, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, মাদক কারবার, সরকারি ও ব্যক্তির জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও ঢাকার আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুনরায় দল থেকে সমর্থন বাগিয়ে নিয়েছেন অন্তত ১২ জন কাউন্সিলর। যাদের বিরুদ্ধে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা থেকে অনুসন্ধান চলছে এবং যাদের ব্যাংক হিসাব তলব বা জব্দ করা হয়েছে। ‘দাগি’ এসব কাউন্সিলরের অনেকেরই বিদেশযাত্রায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞাও। সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যে এমন বিতর্কিতদের দলীয় সমর্থন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকেই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া বিতর্কিত কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন ৫ নম্বরের মো. আশ্রাফুজ্জামান (ফরিদ), ২০ নম্বরের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, ৩৮ নম্বরের আহমদ ইমতিয়াজ মন্নাফী ৫১ নম্বরের হাবিবুর রহমান (হাবু) ও ৫৬ নম্বরের মোহাম্মদ হোসেন। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন ৪ নম্বরের জামাল মোস্তফা, ৫ নম্বরের আবদুর রউফ নান্নু, ১৮ নম্বরের জাকির হোসেন বাবুল, ২৮ নম্বরের ফোরকান হোসেন ও ৩০ নম্বরের আবুল হাসেম (হাসু), ঢাকা দক্ষিণের ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান।
ফরিদুর রহমান খান ইরান: ফরিদুর রহমান খান ইরান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ফার্মগেট এলাকায় দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কোচিং বাণিজ্য সবকিছুই তার একক নিয়ন্ত্রণে। তার ক্ষমতার কাছে সবাই ধরাশায়ী। তার ইচ্ছার বাইরে গেলেই চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। অনেকের মতে ফার্মগেট এলাকার ‘অঘোষিত রাজা’ ইরান। তার কথাই সেখানে আইন, তিনিই সর্বেসর্বা। ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় দোকানে চাঁদাবাজি করে তার বাহিনী।
তেজগাঁও কলেজেও তার একক আধিপত্য। কাউকেই তোয়াক্কা করেন না। ফার্মগেট এলাকায় যত কোচিং সেন্টার আছে, সবগুলোই ইরানের নিয়ন্ত্রণে। এখান থেকে প্রতি মাসে কামাই লাখ লাখ টাকা। জামাই কাউন্সিলর- সেই প্রভাবে ইরানের শাশুড়ি আহসানউল্লাহ পলিটেকনিক সংলগ্ন সুপার স্টার হোটেলের পাশের একটি বাড়ি দখলে নিয়েছেন। সেটি ভেঙে বর্তমানে একতলা ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। ইরানের ক্যাডার বাহিনী আড্ডা দেয় সেখানে।
আশ্রাফুজ্জামান ফরিদ : ডিএসসিসির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশ্রাফুজ্জামান ফরিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের শেষ নেই। তাদের অভিযোগ, জমি দখল, ভাগ্নে শাওনকে দিয়ে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, সরকারি জমিতে বাজার বসিয়ে অর্থ বাণিজ্য, কমিউিনিটি সার্ভিসের নামে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা আদায়, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সিএনজি স্টেশন থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করেন তিনি। সবুজবাগে কোনো নতুন ভবন করতে হলেও কাউন্সিলর ফরিদকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিতে হয়।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন : র্যাবের হাতে আটক ক্যাসিনোকা-ে আলোচিত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম ও ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকা ডিএসসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতনও পেয়েছেন দলীয় সমর্থন। তার অবৈধ সম্পদের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগ আছে, শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া রতন নগর ভবন, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করেন। কাউন্সিলর হয়ে গুলিস্তান এলাকায় ও মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্রে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। গুলিস্তানের ফুটপাত ও মুক্তিযোদ্ধা ক্রাড়ীচক্রে ক্যাসিনো থেকে বিপুল অর্থ আয় করেন তিনি। নিজস্ব দেহরক্ষী নিয়ে নগর ভবনে প্রভাব বিস্তার করা এ কাউন্সিলর ডিএসসিসির একটি অনুষ্ঠানে দুই কর্মকর্তাকে নিজে মারধর করে আলোচনায় আসেন। সেগুনবাগিচায় ফুটপাত দখল করে দোকান ও ডিএসসিসির একটি পাঁচতলা ভবনের তিনটি ফ্লোর দখল করে রাখার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রতন বলেন, তিনি নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ ভবনে ব্যবসা করেন। আর কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সঠিক নয়।
আকাশ কুমার ভৌমিক: ঢাকা দক্ষিণের ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক। কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। ১০ বছর আগেও ছিলেন তরকারি বিক্রেতা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রীর ছত্রচ্ছায়ায় রাতারাতি বদলে যায় তার জীবনযাত্রা। লেখাপড়া খুব একটা না থাকলেও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে তিনি ছিলেন অন্যতম। এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ডের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হন। এরপর থেকে ভ‚মি দখল, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় তার দাপট আরো বেড়ে যায়। তার ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করে আকাশ ভৌমিকের ক্যাডার বাহিনী। তার বাহিনীর অন্যতম ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ, মুন, ফজুসহ অনেকেই। ফজু ‘ঢাকা মেস’ ও শিল্প এলাকায় প্রতিমাসে কোটি টাকার উপরে চাঁদা কালেকশন করেন আকাশের পক্ষ থেকে। চাঁদাবাজি, মাদক ও টেন্ডারের টাকা দিয়ে রাজধানীর আফতাবনগরে ২০ কাঠা প্লট, বউয়ের নামে ১০ কোটি টাকার এফডিআর, সিদ্বেশ^রীতে দুটি ফ্ল্যাট, এমনকি ভারতেও ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে জানা গেছে। এলাকার কোনো রোড কাটিং করতে গেলেও তাদের কাছে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নেন তিনি। আকাশের ব্যক্তিগত সহকারী ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি নাদিম ওয়াসার ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্থানীয় কাজকর্ম তদারক করেন। এ ছাড়া ফুটপাত ও লেগুনা স্ট্যান্ড থেকেও চাঁদাবাজি করেন তার লোকজন।
আহমদ ইমতিয়াজ মন্নাফী : আসন্ন নির্বাচনে ডিএসসিসির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সরকারদলীয় সমর্থন পেয়েছেন আহমদ ইমতিয়াজ মন্নাফী। তরুণ এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাপ্তানবাজারের মুরগিপট্টি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে সেখান থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মনির নামের এক কর্মীকে দিয়ে দৈনিক কাপ্তানবাজার শুধু মুরগিপট্টি থেকেই দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করেন তিনি। এ টাকা আদায় নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সরকারদলীয় লোকজনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ ছাড়া ময়লা সংগ্রহের নামে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাবিবুর রহমান হাবু : ডিএসসিসির ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবুর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে সায়েদাবাদে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদে বাধাদান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজি ও সায়েদাবাদ-শ্যামপুর এলাকায় দখলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
মোহাম্মদ হোসেন : ডিএসসিসির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জমি, খাসজমি, নদীর তীর, খেয়াঘাট, ট্রলারঘাট, রাস্তা, ফুটপাত দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ডিশ-ইন্টারনেটের ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এ ছাড়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির মাধ্যমে পাওয়া অর্থের বড় অংশ তার। এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা থেকে মাসিকহারে অর্থ নেন হোসেন।
জামাল মোস্তফা : ডিএনসিসির কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা নিজে সরাসরি অপরাধে না জড়ালেও ছেলে রফিকুল ইসলাম রুবেলকে দিয়ে নানা অপকর্ম করানোর অভিযোগ রয়েছে। কাফরুল এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এই কাউন্সিলরের ছেলে রফিকুল ইসলাম রুবেলকে ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার আগে এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে আসা ৪৫ জন শীর্ষ মাদক কারবারির মধ্যে জামাল মোস্তফার ছেলের নাম ১২ নম্বরে রয়েছে। জামাল মোস্তফার বিরুদ্ধেও রয়েছে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ। তবে জামাল মোস্তফা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আব্দুর রউফ নান্নু : ডিএনসিসির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নুর বিরুদ্ধে রাস্তা দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও মাদক ব্যবসায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এ কাউন্সিলর কয়েক বছর আগে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকায় সড়কের একটি বড় অংশ দখল করে অর্ধশত দোকান বানিয়েছেন। এ স্থানটি বর্তমানে ‘নান্নু মার্কেট’ নামে পরিচিত। সরকারের শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু দিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলেও জানা যায়।
জাকির হোসেন বাবুল : ডিএনসিসির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। বনানী এলাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চলমান শুদ্ধি অভিযানে বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন এই কাউন্সিলর। অভিযোগ আছে, বাবুল ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেও গুলশান, বারিধারা, শাহজাদপুর, নতুনবাজার, নর্দা ও কালাচাঁদপুরসহ আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। এসব এলাকার জমিদখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকা- চলে বাবুলের নির্দেশেই। জমি দখল ছাড়াও কড়াইল বস্তিতে অবৈধভাবে গ্যাসসংযোগ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ফোরকান হোসেন : ডিএনসিসির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেনের বিরুদ্ধে আগারগাঁও-শেরেবাংলা নগর এলাকায় ফুটপাত দখল ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর আপন ভাই ও নিজস্ব লোকজন দিয়ে আগারগাঁও আইডিবি ভবন থেকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সামনের রাস্তা পর্যন্ত সড়ক ও ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ডিএনসিসির একটি সভায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ফুটপাত দখলের অভিযোগ করেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ফোরকান তা প্রত্যাখ্যান করে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ ছুড়ে দেন।
আবুল হাসেম হাসু : নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ডিএনসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসেম হাসুর বিরুদ্ধে। রাজধানী মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় নিজস্ব লোকজন দিয়ে জমি দখল ও ফুটপাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শ্যামলী আদাবর এলাকাবাসীর কাছে ‘বড় দখলদার’ হিসেবেই পরিচিত। এ কাউন্সিলরের ভাই কাসুকে নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ‘হাসু-কাসু’ বাহিনী নামে পরিচিত এই বাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। নানা অনিয়মের অভিযোগে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হাসুর বিরুদ্ধে আদাবর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলাও হয়েছে।