ক্যাসিনো-চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায়
অনুপ্রবেশকারী হামিদ খান মনোনয়ন না পাওয়ায়, স্বস্তিতে তৃণমূল আ'লীগ

ঢাকার দুই সিটিতে আসন্ন নির্বাচনে পুরনো ১১১টি ওয়ার্ডের ৬০ শতাংশে পুরনো কাউন্সিলদের ওপর ভরসা রেখেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই ১১১ ওয়ার্ডের মধ্যে ৬৭টিতে পুরোনো কাউন্সিলররা দলীয় সমর্থন পেয়েছেন। আর যারা বাদ পড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ ।
আর বাদ পড়া তালিয় রয়েছে এমনই একজন তিনি হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হামিদ খান।
তার বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্য , ক্যাসিনোকান্ড, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, মাদক কারবার, সরকারি ও ব্যক্তির জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার রয়েছে অভিযোগ ।
আর দল থেকে কাউন্সিলর হামিদ খান মনোনয়ন না পাওয়ায় এতে স্বস্থি প্রকাশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল নেতা কর্মীরা।।
আর এই ওয়ার্ডে থেকে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ।
রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসাদসহ অন্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ এবং পরিবাগ নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ড।
এদিকে আসাদের মনোনয়নপ্রাপ্তির খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আনন্দমিছিল করছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
যত অভিযোগ কাউন্সিলর হামিদ খানের বিরুদ্ধ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে শাহবাগ এলাকায় দখল, ক্যাসিনো ব্যবসা , চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাড়ি ও মার্কেট দখল, মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততা, সবকিছুই তার একক নিয়ন্ত্রণে।
তার ক্ষমতার কাছে সবাই ধরাশায়ী। তার ইচ্ছার বাইরে গেলেই চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় দোকানে চাঁদাবাজি করে তার বাহিনী।আর এসব নিয়ন্ত্রন করে তার দুই ছেলে মুহিত -মাসুদ।
জানা যায়, বিএনপি সরকারে আমলে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতা ফালুর মাই মেন ছিল হামিদ খান।
দল বদলে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি । শীর্ষ নেতৃত্ব ম্যানেজ করে ভাগিয়ে নেন পদ। আর এতে কোনঠাসা হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা!
এছাড়া ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের শেষ নেই কাউন্সিলর হামিদ খানের বিরুদ্ধে । তাদের অভিযোগ, জমি দখল, ছেলে মাসুদ মুহিতকে দিয়ে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, সরকারি জমিতে বাজার বসিয়ে অর্থ বাণিজ্য, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সুবিধা দেওয়া , সিএনজি স্টেশন থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করেন তিনি। শাহবাগ থানায় কেউ কোনো নতুন ভবন করতে হলেও কাউন্সিলর হামিদ খানকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিতে হয়।
এসম্পর্কে ২১ ওয়ার্ডের ভোটার নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসা , চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাড়ি ও মার্কেট দখল, মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততা, সবকিছুই তার একক নিয়ন্ত্রণে। ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ।
তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়া আমরা স্বস্থি পাচ্ছি।