ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


মিছিল নিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’য় জড়ো হচ্ছেন লোকজন, চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি


১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১০

আপডেট:
২ মে ২০২৫ ১৭:৩৩

‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিলে জড়ো হচ্ছেন লোকজন। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন লোকজন। সেই সঙ্গে মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে জড়ো হচ্ছেন তারা।

শনিবার শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত এই ‘মার্চ’ হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুর ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত হবে।

দেখা গেছে, পুরানা পল্টন, গুলিস্তানের জিপিও, কাকরাইল মোড়ে লোকজন জড়ো হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। মাথায় কালো ব্যাচ এবং হাতে কালো পতাকা দেখলে সেটি নিয়ে জব্দ করছেন।

মার্চ ফর গাজা কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

এতে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক। এটি রাজধানীতে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ হতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আয়োজক ও সংশ্লিষ্টরা।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ‘গাজার নিরস্ত্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক জনমত তৈরির লক্ষ্যেই এই আয়োজন।’

এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশের খ্যাতনামা আলেম-ওলামা, ইসলামিক স্কলার, খেলোয়াড়, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সব রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন।

সমাবেশকে ঘিরে আয়োজক সংগঠনের ফেসবুক পেজে আলেম, সেলিব্রেটি ও বিশিষ্টজনদের সমর্থনমূলক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হচ্ছে। সেখানে ‘দৈনিক আমার দেশ’-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম, ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, অভিনেতা তামিম মৃধা ও টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক প্রমুখের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।

আয়োজকদের আশা, ঢাকার এই গণজমায়েত গাজার নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর এক শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হবে।

এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. অংশগ্রহণকারীদের নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন- পানি, ছাতা, মাস্ক এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।

৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশের অনুরোধ করা হয়েছে।

৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।