চাঁদপুরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের ভোগান্তি
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর জেলায় ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
বৈরি আবহাওয়ায় সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনালে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন বাখারাবাগ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) প্রকৌশলী মীর ফজলে রাব্বী।
বৃহস্পতিবার সকালে বাখারাবাগ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কুমিল্লা কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
তবে বুধবার সকাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ কম ছিল চাঁদপুর জেলা শহরে। রাত পর্যন্ত চলা এ অবস্থার মধ্যে কিছু সময় আবার পুরোপুরি বন্ধও থাকে সরবরাহ। পরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় আবাসিক গ্যাস সরবরাহ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন আবাসিক গ্রাহকরা। বিশেষ করে গৃহিণীরা রান্না নিয়ে পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়।
শহরের পুরাণ বাজার পূর্ব শ্রীরামদী এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী নাজমা আক্তার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই আমাদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। কিন্তু বন্ধ হওয়ার আগে কোম্পানির পক্ষ থেকে গ্রাহকদের সতর্ক করা এবং মাইকিং করে জানানো প্রয়োজন। তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
শহরের নিউ ট্রাক এলাকার ঢালী বাড়ী এলাকার গৃহিণী ফাতেমা আক্তার বলেন, সকালে চুলায় আগুন দিতে গিয়ে দেখি খুবই কম গ্যাস উঠছে। সকাল ৮টার দিকে পুরোপুরি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। নাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। বাসায় অতিথি আছে। এমন পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করা খুবই কঠিন।
বাখারাবাগ গ্যাসের প্রকৌশলী মীর ফজলে রাব্বী বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত ভাসমান টার্মিনালে জাহাজ থেকে আমদানি করা গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
কিরি বলেন, চাঁদপুর এলাকার গ্যাসের একমাত্র সোর্স সাগরের এলএনজি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি মহেশখালী টার্মিনাল হয়ে কুমিল্লার লাকসামের বিজরা এলাকা থেকে চাঁদপুরে আসে। সাগর উত্তাল কিংবা প্রাকৃতিক বৈরিভাব দেখা দিলে টার্মিনাল ও জাহাজের নিরাপত্তার স্বার্থে জাহাজ থেকে এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে চাঁদপুর জেলার একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পাঁচটি সিএনজি স্টেশনসহ ২০ হাজার গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আবহাওয়ার বৈরিভাব কেটে গেলে ন্যূনতম সময়ে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান এই ব্যবস্থাপক।
