ঢাকা বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৫ই আষাঢ় ১৪৩২


জবিতে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ারের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন


১৮ জুন ২০২৫ ২০:১৪

আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ২৩:৩২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ছাত্রদল। আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো: শাহরিয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনে একটি পানির ফিল্টার স্থাপন করে দিয়েছেন। এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে।

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের বিশুদ্ধ পানির অভাব পূরণে ছাত্রদলের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, "ক্যাম্পাসে বিশুদ্ধ পানির সংকট একটি বড় সমস্যা। শাহরিয়ার ভাইয়ের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে আমরা শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবো।"

১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলামও এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, "পানির ফিল্টার স্থাপনের এই খবর শুনে আমরা খুবই আনন্দিত। এটি আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে আছে, এটি তার আরেকটি প্রমাণ।"

শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান হিমেলের মতে "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। অস্বাস্থ্যকর পানি পান করে শিক্ষার্থীরা প্রায়শই বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যা তাদের পড়াশোনা ও স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শাহরিয়ারের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অপরিহার্য একটি পদক্ষেপ এবং একটি সুস্থ শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোলার পূর্বশর্ত।"

সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন "শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির অভাব দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন করা হয়েছে, এটি প্রশংসনীয়।”

মো: শাহরিয়ার হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই এই ফিল্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা রাখছি যে, এই ফিল্টার স্থাপনের মাধ্যমে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ হবে এবং তারা নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে। 

ছাত্রদলের এই জনহিতকর কাজ ক্যাম্পাসে ইতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।