বাতিল হওয়া আসনে বিকল্প প্রার্থীর সুযোগ নেই

যেসব আসনে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে সেসব আসনে পুনরায় তফশিল অথবা বিকল্প প্রাথীর দেওয়ার দাবি জানিয়ে দিয়েছিল দলটি। তাদের সে দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইসি। রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন। রোববার বিকালে এক বৈঠক শেষে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
২৫ জন জামায়াত ইসলামীর নেতার মধ্যে ২২ জনই বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে কি হবে না তা নিয়ে তিন কর্ম দিবসের ভেতরে সিদ্ধান্ত দিতে ইসিকে জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। আজ রোববার অবশেষে তাদের প্রার্থীতা বহাল রাখলো নির্বাচন কমিশন।
ইসি সূত্র থেকে জানা গেছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ প্রার্থীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ ডিসেম্বর তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী একটি রিট দায়ের করেন। রিটটির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। গত সোমবার ও মঙ্গলবার রিটের শুনানি হয়। রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ ২৫ প্রার্থীকে বিবাদী করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রিট শুনানি শেষে রুল জারি করে আদেশ দেন। আদেশে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবসহ চারজনের আবেদন তিনদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের বাতিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গৌরব একাত্তরসহ কয়েকটি সংগঠন নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে।
অন্যদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তারা শুধু ধানের শীষের প্রতীক নয়, তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছেন তারা। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ তাদের দেওয়া হয়েছে। জামায়াত তাদের মনোনীত করেনি। বিএনপি মনোনীত করেছে।
যেসব জামায়াত নেতা প্রার্থী হয়েছেন তারা হলেন, দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম,নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম,গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান,পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ,বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার,খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক,সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম ও কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ।