ঢাকা রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২


ড. কামাল-সিইসি মতবিরোধ, বৈঠক ত্যাগ


২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩২

আপডেট:
৪ মে ২০২৫ ১৪:৪৫

নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষ না করে মাঝপথে বের হয়ে গেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সিইসি’র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরনের অভিযোগ এনেছেন তারা।

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষ না করে মাঝপথে বের হয়ে গেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সিইসি’র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরনের অভিযোগ এনেছেন তারা।

বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন দ্রুত নির্বাচন কমিশন থেকে চলে যান। পরে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিইসি’র বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ করার অভিযোগ আরেন।

মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বৈঠক শুরুর দেড়ঘণ্টার মাথায় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বৈঠক শেষ না করেই বের হয়ে হয়ে যান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সিইসি আমাদের কোনো কথাই শোনেন নি। আমরা সারাদেশে পুলিশের ধরপাকড়, হয়রানির বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছি, তিনি তা শোনেননি। তিনি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন।’

তবে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে ঐক্যফ্রন্টের অপর নেতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, বৈঠককালে নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ড. কামাল হোসেন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।

তিনি জানান, ড. কামাল হোসেন পুলিশ লাঠিয়াল বাহিনীর মতো আচরণ করছে এমন মন্তব্য করলে তার প্রতিবাদ করেন সিইসি। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই পরে সকলে বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রার্থীর জন্য ‘সমান সুযোগ’চেয়ে আবারও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে (ইসি) বৈঠক বসেছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

দুপুর ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা।

বৈঠকে আগামী ২৭ ডিসেম্বরের সমাবেশ সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো। নির্বাচনি প্রচারণায় ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যেসব নেতাকর্মী আটক হয়েছেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে তালিকা দেয়া এবং ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইতেই বৈঠকটি চেয়েছিলেন নেতারা।

ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের প্রেসিডেয়াম সদস্য মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।