‘জরিপে এগিয়ে’ আওয়ামী লীগ,

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর। ভোটের ক্ষণ ঘনীভূত হলেও নির্বাচনি মাঠে দৃশ্যমান প্রচারে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। বিভিন্ন সংস্থার করা নির্বাচনি ভোটের ‘জরিপেও এগিয়ে’ রয়েছেন তারা। অন্যদিকে প্রচারে পিছিয়ে থাকলেও বিএনপি জোটের প্রার্থীরা ভোটের দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে শেষ হচ্ছে নির্বাচনি প্রচারণা। ফলে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত রাজপথ থেকে শান্ত গ্রামীণ পথ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিছিল-স্লোগানে। শোনা যাচ্ছে, নির্বাচনি গানের সুর।
কোথাও কোথাও অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে প্রচারণা। তারপরও একে অপরের প্রতি নানান অভিযোগ তুলছেন প্রার্থীরা। সারা দেশে ৩০০ আসনের মোট ১ হাজার ৮৪৮ জন প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার ঘোষণায় কিছুটা উদ্বিগ্ন ও সংশয় রয়েছে অনেকের মাঝে।
নির্বাচনি ভোটের ‘জরিপে এগিয়ে’ আওয়ামী লীগ
প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে ভোটের আগে জরিপ নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। এবারও ভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে রয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) কর্তৃক চালানো এক জরিপে উঠে এসেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে, ঐক্যফ্রন্ট পেতে পারে ৪৯টি আসন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্যান্যরা পাবে তিনটি আসন। ২৬ ডিসেম্বর আরডিসির অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন এ জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। ফলাফলে দেখা যায়, দেশের ভোটারদের ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে দিয়েছে ২২ শতাংশ ভোটার। এই ভোটে ১০ শতাংশ মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৬৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি। জরিপে দেশের ৬৬ শতাংশ ভোটারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা তার দলের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। জরিপের এই ফলাফল বলছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জিতে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনে আওয়ামী লীগকে বেগ পেতে হবে না।
২০১৭ সালে ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবেই। আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের বিশ্বাস ও সমর্থন যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে এখন নির্বাচন হলেও এ দল ২০০৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও বেশি আসন পাবে। আমরা জরিপ করেছি। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এ দলকে হারানোর মতো শক্তি অন্য কোনো দলের নেই।’
কীভাবে জরিপ চালানো হয়েছে, জানতে চাইলে জয় বলেন, ‘প্রফেশনাল একটি কোম্পানিকে দিয়ে জরিপ চালিয়েছি। আর আমি নিজে জরিপ কার্যক্রম মনিটর করেছি। এ জরিপ মোস্ট একুরেইট জরিপ।’
আজ ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিজয়ের ৪৭ বছর পর আরেকটি বিজয় সূচিত হতে যাচ্ছে। সারা দেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিজয়ের সুবাতাস পাওয়া যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, তেতুলিয়া থেকে কুতুবদিয়ায় নৌকার যে গণজোয়ার উঠেছে, তাতে ৩০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি নিয়ে মহাজোট জয়ী হবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনকে ঘিরে যতই অভিযোগ থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র নির্ভর করে। সম্প্রতি সেই আলোকে নির্বাচনি প্রচারণায় সংঘটিত সংঘাত, সংঘর্ষে জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যদিও এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দীর্ঘদিন সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির জন্য ভিন্নতা বহন করে। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকে যেতে, আর দীর্ঘদিন পর বিএনপি চাচ্ছে ফের রাষ্ট্রপরিচালনায় যেতে। মূলত এই নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ভোট যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু শেষ পযন্ত কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের হাসি কে হাসবে, সেটি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে ৩০ ডিসেম্বর।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, আশা করব, নির্বাচন কমিশন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নিরপেক্ষ উদ্যোগ নেবে। যদি না নেয়, তা হবে হতাশাব্যঞ্জক। কেননা নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশ থেকে ব্যর্থতার দায় কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওপরই বর্তাবে। নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সবাই প্রশ্ন তুলবে।
অভিযোগের ‘শেষ নেই’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নেতাদের অভিযোগ, বিএনপি সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র খুঁজে এবং দেখে। ভোটারদের কাছ থেকে জনবিছিন্ন হয়ে এখন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দাঁড় করানোর চেষ্টায় লিপ্ত।
অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ভাষ্য, বিরোধী দলের কোনো অভিযোগই আমলে নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। হামলা ও নতুন করে মামলায় গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট গ্রেফতার হয়েছেন ৯২০২ নেতাকর্মী, গায়েবি ও মিথ্যা মামলা হয়েছে ৮০৬টি। মোট হামলার সংখ্যা ২৭১৬, মোট আহতের সংখ্যা ১২৫৮৮ জন, মৃতের সংখ্যা ৮ জন।
উভয় দলেই নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে সংঘর্ষ ‘এড়ানোর নির্দেশ’
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন কোনো অপশক্তি যেন ভোটকেন্দ্রে আঘাত করতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ঠান্ডা মাথায় নানা উসকানি দিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করবে, তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে আগামী তিন দিন ধৈর্য ধরে নির্বাচন পরিচালনার কাজ করতে হবে। এ সরকার যত উন্নয়ন করেছে তার সুফল, সব দলের লোকে ভোগ করছে। কোনও বিশেষ দল বা ব্যক্তির জন্য উন্নয়ন হয়নি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনি প্রচারে হামলা-মামলা, গ্রেফতারে কিছুটা বিপর্যস্ত বিএনপি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় নেতাসহ অর্ধশতাধিক প্রার্থী হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। এরপরও দলের নেতাদের ধৈর্য ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে না জড়াতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রার্থী ও এজেন্টদের করণীয় কী হবে, সে নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে।
আশাবাদী আওয়ামী লীগ ও মহাজোট, শেষ পর্যন্ত লড়বে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট
টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতের আনন্দবাজার ডিজিটালকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, ‘আমরাই আসছি। কারণ মানুষ আমাদেরই চাইছেন। বাংলাদেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণের ভোটেই আমরা নির্বাচিত হব।’
অপর এক বক্তব্যে বিএনপি-জামায়াত জোটকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। কারণ তাহলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও ভোটের মাঠ ছাড়বে না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়া এবং নেতাকর্মীকে মাঠে রাখার কৌশল নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের কর্মপন্থা চূড়ান্ত করতে বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একইসঙ্গে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুই জোটই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ছাড়াই নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আর এ কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করছে নির্বাচন কমিশন। অথচ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেরা নিরপেক্ষ থেকে একটি অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করা। কিন্তু তারা তা করছে না, বরং সরকারকে বিজয়ী করতে যেন উঠে পড়ে লেগেছে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা শেষ পর্যন্ত মাঠে আছি ও থাকব। সরকারি দলকে ফাঁকা মাঠে গোল করতে দেওয়া হবে না। চূড়ান্তভাবে মাটি আঁকড়ে ধরে মাঠে থেকে দেশবাসী ও বিদেশিদের সামনে সরকারের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই।
ভোট লড়াইয়ে বিএনপি জোটে ‘ভিন্নমত’
ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা মনে করছেন, ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারলে মাঠের চিত্র পাল্টে যাবে। তাই নির্বাচনের আগের রাত পর্যন্ত সময়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নির্বাচনের আগের রাতে হামলা-মামলা, গ্রেফতার এড়ানো গেলে ভোটের দিন তারা শক্ত অবস্থানেই থাকবে। বৈঠকে জোটের শরিক দলের এক নেতা নির্বাচন বর্জনের পরামর্শ দিলেও তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন অন্য নেতারা। সারা দেশে ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে সিদ্ধান্ত হয়, ঐক্যবদ্ধ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন সকাল থেকে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন প্রবীণ সদস্য বলেন, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে করে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকা না-থাকার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য দেখছি না। নির্বাচনে না থাকলে বরং বিএনপি কি কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে এবং ২০১৪ সালে নির্বাচন বয়কট করেছিল তা সারা বিশ্ব পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত কি হয় তা জানি না। যেহেতু এখন বিএনপি তার নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনায় নিয়েই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। এমনও হয়তো দেখা যেতে পারে, ৩০ ডিসেম্বর দুপুর বেলায় নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিতে পারে ঐক্যফ্রন্ট।
জোটের নেতারা বলছেন, নির্বাচনের দিনই তাদের আন্দোলনের দিন। তফসিল ঘোষণার আগে আন্দোলনে নামেনি বিএনপি। কারণ তারা শক্তি ক্ষয় করতে চায়নি। তাই নির্বাচনের দিনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে মাঠে থাকতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন এতটা ‘একপক্ষীয়’ আচরণ করবে, তা তাদের ধারণার বাইরে ছিল। সরকারি দলের হামলা-মামলার পর তারা ধৈর্য ধরেছেন; কিন্তু এখন তাদের কাছে কমিশনের ভূমিকা পরিষ্কার।