ঢাকা মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫, ২০শে কার্তিক ১৪৩২


জামালপুরে ইজিবাইক লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন প্রশাসনের সমঝোতায় প্রত্যাহার


প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২৫ ২০:৫৬

জামালপুরে ইজিবাইক লাইসেন্স ফি ৫০০ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ইজিবাইক লাল এবং সবুজ রঙ করে শহরে একদিন পর পর চালানোর পৌরসভার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শহরে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ২ নভেম্বর ২০২৫ রবিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চালক ও মালিকদের ধর্মঘটের কারণে শহরবাসী চরম সমস্যায় পড়েছেন। বেলা ২টা পর্যন্ত শহরে কোনো অটোরিক্সা, ইজিবাইক, মিশুক বা অটোভ্যান চলতে দেখা যায়নি। ২টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অল্প সংখ্যক ইজিবাইক চলাচল শুরু করে। পরে বিকাল ৩টা থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

জানা যায় চালক ও মালিক ঐক্য পরিষদ শহরে লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘট ঘোষণা করেন। সকাল ১১টার দিকে শহরের প্রধান ও অভ্যন্তরীণ সড়ক সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। যাত্রীরা হেঁটে বা মালামাল মাথায় বহন করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীরাও হাঁটেই যাতায়াত করতে বাধ্য হন। এতে শহরবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হোন।

এদিকে ধর্মঘটের পক্ষে
শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চালক ও মালিকরা মিছিল নিয়ে গেটপাড় এলাকায় অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। ধর্মঘট চলাকালীন এক দুইটি ইজিবাইক এলেও চালকরা যাত্রীদের নামিয়ে দেন।

তাঁরা বলেন, অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চালকদের অভিযোগ, জামালপুর শহরের আয়ের পরিমাণ কমে গেছে, অথচ পৌরসভা প্রতিবছর নানাভাবে চালক ও মালিকদের কাছ থেকে ফি নিচ্ছে। এর আগে লাইসেন্স ফি ৩,৫০০ টাকা ছিল, এবার ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ৪,০০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ইজিবাইক চালকদের এক দিন লাল ও এক দিন সবুজ রং করতে হবে, যা অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী খানম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চালক ও মালিকেরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আন্দোলন করেছেন। রং পরিবর্তনের কাজ পৌরসভাই করবে এবং বাড়ানো ৫০০ টাকা লাইসেন্স ফি কর্মশালার আয়ে খরচ করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পর আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

অপর দিকে ইজিবাইকের চালকগণ ও তাদের সংগঠনে নেতা কর্মীরা ধীরে ধীরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও প্রতিবাদ সমাবেশ করতে থাকেন। পরে জামালপুর জেলা প্রশাসক হাসিনা বেগম, উপস্হিত নির্বাহী ম্যাজিস্টেটগণ, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধি, ইজিবাইক সংঘঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্হিতিতে দীর্ঘ ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে তারা ধর্মঘটের প্রত্যাহার করেন। জেলা প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জেলাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেন।