ঢাকা মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫, ২০শে কার্তিক ১৪৩২


ডুমুরিয়ায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২৫ ২১:০৮

ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া আল হাবিব নূরানি ক্যাডেট স্কীম ও মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী রিপন মোড়ল।

শনিবার ১ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সাংবাদিক ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী রিপন মোড়ল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন গত ২২ বছর পূর্বে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিরাশুনি গ্রামের মকবুল হোসেনের কন্যা শিপু বেগম এর সহিত ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমার সঙ্গে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হয়।

বিবাহ পরবর্তী সময়ে আমাদের ঘরে ২টি সন্তানের জন্ম হয়, তাদের নিয়ে সুখেই কাটছিলো দিন। কিন্তু মাঝপথেই ঘটে সংসারে অশান্তি। আর সেই অশান্তির কারণ একজন নারী লোভী মাদ্রাসার পরিচালক মোস্তফা কামাল।রিপন মোড়লের অভিযোগ তার সন্তানকে ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার জন্য ভর্তি করানো হয়। সেই সুযোগে তার স্রীকে মাদ্রাসার পরিচালক মোস্তফা কামাল বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসায় রান্নার কাজ করাতো। একপর্যায়ে তার স্রীর সাথে ওই মাদ্রাসা পরিচালক গোপনে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।

রিপন মোড়ল লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, আমার স্রীকে নিয়ে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অজানা স্থানে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে দুজনে রাত্রি যাপন করতো। আমার স্ত্রী আমার নিষেধ না শুনে আমার অবাধ্য হয়ে জোরপূর্বক তার সাথে যেখানে সেখানে চলে যেত এবং রাত্রি যাপন করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ অক্টোবর আমার স্ত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে আমি আমার আত্মীয় স্বজনসহ পরিচিত জনদের বাড়িতে খোজাখুজির পর না পেয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারি আমার স্ত্রীকে মোস্তফা কামাল অজানা কোন স্থানে রেখে আসছে।

আমার স্ত্রী শিপু বেগম যাওয়ার সময় আমার ঘরে থাকা নগদ দুই লক্ষ আঠার হাজার টাকা ও দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার নিয়ে চলে যায়। গত ২৫ অক্টোবর আমি জানতে পারি সে আমার বড় মেয়ের শশুর বাড়ি শিরাশুনি গ্রামে অবস্থান করছে। সংবাদ পেয়ে আমি তাকে দেখতে যাই। যাওয়ার পরে একই গ্রামে আমার শশুর বাড়ি হওয়ায় আমার শশুর ও শ্যালকরা আমার সাথে অসম্মানজনক আচারণ করে এবং আমার স্ত্রীকে আমার সাথে বাড়িতে আনতে বাধা সৃষ্টি করে।

বর্তমানে আমার স্ত্রী বলে বেড়াচ্ছে কুলবাড়িয়া আল হাবিব নূরানি ক্যাডেট স্কীম মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মোস্তাফা কামাল (হুজুরের) সহিত তার বিবাহ হয়েছে। কিন্তু আমার স্ত্রী শিপু বেগম এখনো পর্যন্ত আমাকে কোন নোটিশ বা তালাকের কাগজ দেখাতে পারে নাই।

এর আগেও অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল অনেকের সংসারে একইভাবে অশান্তি সৃষ্টি করেছে যা স্থানীয়দের কাছ থেকে শোনা যায়। আমি এবং আমার পরিবার উক্ত মাদ্রাসার পরিচালক মোস্তফা কামাল হুজুর যাতে করে পরবর্তীতে অন্য কারও সুখের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


##
মোক্তার হোসেন 
০১৭১১২১২০৬৩