কেয়টখালী দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের ২৭তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কেয়টখালী এলাকায় ঐতিহ্যবাহী কেয়টখালী দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের উদ্যোগে ২৭তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাদ আসর মসজিদ সংলগ্ন চন্দ্রবাড়ী খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এডভোকেট মনিরুজ্জামান ( শাশ্বত মনির)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়; এটি সমাজ গঠনের কেন্দ্র। ঈমান, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমান প্রজন্মকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হলে মসজিদভিত্তিক কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে সমাজ থেকে অন্যায়, দুর্নীতি ও অবক্ষয় দূর হবে। এ ধরনের ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল মানুষকে আল্লাহভীতিতে উদ্বুদ্ধ করে এবং সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।”
মাহফিলে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন। বয়ানকারীদের মধ্যে ছিলেন-
হাফেজ মাওলানা মুফতী আব্দুর রহিম আল হোসাইনী, ব্রাহ্মন বাড়িয়া, খতিব, সোহাগপুর মাদানী জামে মসজিদ, আশুগঞ্জ সদর।
হযরত মাওলানা মুফতী সাইফুল ইসলাম মাহদী, ইমাম ও খতিব, ইস্টান হাউজিং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ডেমরা, ঢাকা।
হাফেজ মাওলানা ক্বারী নূরে আলম সিদ্দীকি, ইমাম ও খতিব, পশ্চিম হাঁসাড়া ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় মিনার জামে মসজিদ ও মুহতামিম, দারুল উলুম মোহসেনিয়া মাদরাসা, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।
হযরত মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী, ইমাম ও খতিব, কেয়টখালী দেওয়ান বাড়ী জামে মসজিদ, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।
বক্তারা তাঁদের আলোচনায় ঈমান-আকিদা, নামাজের গুরুত্ব, তাকওয়া অর্জন, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং দ্বীনি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মুফতি হুসাইন আহমেদ ইসহাকী, প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, জামিয়া আরাবিয়া, ষোলঘর, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।
মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা জুনায়েদ আহমেদ নিয়াজী, ইমাম ও খতিব, কেয়টখালী বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।
অনুষ্ঠানে এলাকার আলেম-ওলামা, মসজিদ কমিটির সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। মাহফিলের শেষ পর্যায়ে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
