গ্রামে একদল তরুণদের অন্যরকম যুদ্ধ!

ঘাটাইলের শাহপুর গ্রামের টিকা নেওয়ার উপযুক্ত প্রায় সব নারী-পুরুষ করোনা টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। দিন-রাত পরিশ্রম করে এ কাজটি সম্ভব করেছেন ওই গ্রামের একদল যুবক। আর এ কাজে নেতৃত্ব দেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক খালিদ হাসান খোকন ও ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রুবেল।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা , তরুণেরা উপজেলার ঘাটাইল ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে টিকা গ্রহণের সুফল সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। পরে ওই তরুণেরা নিবন্ধন করে দেন। নিবন্ধন কার্ড প্রিন্ট করে তাঁদের টিকাকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছেন।
শিক্ষক খালিদ হাসান ধোকন জানান, এই দুঃসময়ে গ্রামের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে টিকা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁরা টিকার নিবন্ধন করে তা প্রিন্টও করে দিচ্ছেন। এর খরচ বহন করছেন এ গ্রামেরই তরুণ ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্বেচ্ছাসেবকেরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ গ্রামবাসীর টিকা নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
তাঁরা আশা করছেন, গ্রামবাসীকে টিকার আওতায় আনতে পারবেন। মো. আমিনুল ইসলাম রুবেল বলেন, 'কাজটি বেশ জটিল। সবাই টিকা নিতে আগ্রহী না। তাঁদের বুঝিয়ে রাজি করাতে হয়েছে। তারপর তাঁদের বাড়িতে বসেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকেরা কয়েকটি ভাগ হয়ে ৭০-৮০ শতাংশ লোকজনের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। করছি গ্রামবাসীকে টিকার আওতায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হায়দার আলী বলেন, 'ওই গ্রামের তরুণেরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিটি গ্রামের যুবকেরা এভাবে এগিয়ে এলে এই মহামারি মোকাবিলা করা সহজ হবে।'