ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারী ২০২৫, ৪ঠা মাঘ ১৪৩১


শেরপুরে আসক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত


১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৬

আপডেট:
১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ০৮:১৯

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৪ আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) উদযাপন করে শেরপুর জেলা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন। শেরপুরে আসক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আসক ফাউন্ডেশন শেরপুর জেলা শাখা সভাপতি মো. ফখরুল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন আসক শেরপুর জেলা শাখা সিঃ সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান হুমায়ুন, সহ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম আলম, সহ সভাপতি (২) শফিকুল মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাকন সরকার, সিঃ সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃসোহাগ রানা, দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হুসেন, আইন সম্পাদক এডঃ শাহারিয়ার আরিফ, সদর থানা (আসক ফাউন্ডেন) সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম রিয়াজ, সদর থানার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা আক্তার বিথি, আসক শেরপুর শহর শাখার সভাপতি সামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু রবিন রনি, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ কোরবান আলি, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান সুমন, আসক ফাউন্ডেশন নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরুজ বাদশাহ, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হুসাইন, শ্রীবর্দী আসক ফাউন্ডেশন সভাপতি হারুন অর রশিদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক কে এম বিল্লাল হুসেন উজ্জল প্রমুখ।

১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ এখনই’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।

জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান হতে হবে। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করবে। ঘোষণাপত্রের ৩০ অনুচ্ছেদে প্রত্যেকের অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। দিবসটিতে মানবাধিকার পরিস্থিতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে সুপারিশপত্রও দেওয়া হয় কমিশনে। প্রতিটি জেলায় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটি ও অফিসের মাধ্যমে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সব মানুষের প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তথ্যমতে, সামরিক শাসন, একনায়কতন্ত্র, বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া, মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা, জোরপূর্বক মিছিল ভঙ্গ করে দেওয়া, মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া বা করা, রাজনৈতিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করা বা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্টি হওয়া, সবার সর্বক্ষেত্রে সমানভাবে মানবাধিকার ভোগ করার সুযোগ না পাওয়া, স্বাধীনতা, মুক্তি, অধিকারের সঙ্গে আশা-ভরসা ও মানবতা সমানভাবে গৃহীত না হওয়ার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।

এ ছাড়া বিয়ে, সন্তান লাভ করা, পরিবার গঠন, নিজের মতো চাওয়া পাওয়া পূরণ করা, মুক্তচিন্তা করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা, জনসমাবেশ করা ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করা, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, শ্রমিকদের কাজের অধিকার দেওয়া, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করা, সবার খেলাধুলার অধিকার নিশ্চিত করা, মতপ্রকাশ ও নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, গোত্রের মধ্যে সমতা রক্ষা করা, যার যার ধর্ম তার তার পালনের অধিকার, ছুটি কাটানোর অধিকার, শিশু শ্রম বন্ধ করা, শিক্ষার সমতা নিশ্চিত করাও মানবাধিকার মধ্যেই পড়ে।