নেছারাবাদে ৩ পাহারাদারের বিরুদ্ধে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক

পিরোজপুরের নেছারাবাদে গভীর রাতে এক গৃহবধূ গার্মেন্টস কর্মীকে একা পেয়ে বাজারের (মিয়ারহাট বন্দর) ৩ জন পাহারাদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে দুইটি দোকানের গলির ভিতরে নিয়ে ওই নারীকে দুইজন পাহারাদারের সহযোগীতায় একজন পাহারাদার ধর্ষণ করেছে। পরে বাকি দুইজনে ধর্ষনের চেষ্টা চালালে ভুক্তভোগী নারীর ডাক চিৎকারে তারা সটকে পড়ে। অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি মিয়ারহাট বাজারের পাহারাদারের কাজে নিয়োজিত। ঘটনার পর ওই নারী রাতেই পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ পাহারাদার তিনজনকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন গভীর রাতে ওই নারী ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে নেছারাবাদে আসেন। নেছারাবাদ ছারছীনা বরিশাল বাসষ্ট্যান্ডে নেমে খেয়াযোগে উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে নামেন। এসময় বাজারের পাহারাদার মো: তৈয়ব আলী মোল্লা(৬০), মো: সহিদুল ইসলাম(৩০),মো: সাইফুল ইসলাম(৫০) নামে তিনজন মিলে ওই নারীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বাজারের দুইটি দোকানের গলির ভিতরে নিয়ে যান। এসময় তৈয়ব আলী অপর দুই পাহারাদারের সহযোগীতায় জোড়পূর্বক ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে সহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ধর্ষণের চেষ্টা করলে নারীর ডাক চিৎকারে তারা সটকে পড়ে। ঘটনার পর ওই নারী বাজারে টহলরত পুলিশকে জানায়। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই গার্মেন্টসকর্মী নারী বলেন, আমাকে ধরে তারা জোড় করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এসময় আমি তাদের হাতে পায়ে ধরে কান্না করলেও তাদের মন গলেনি। তারা আমার কোন আকুতি মিনতি না শুনে আমাকে অসহায় পেয়ে প্রথমে তৈয়ব আলী ধর্ষণ করে। পরে বাকি দু'জনে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমার চিৎকারে তারা সটকে পড়ে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বনি আমীন জানান, ওই নারী তার জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা বলেছে। ঘটনা শুনে তিনজনকেই ধরে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তিন জনকেই পিরোজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।