শ্যামনগরে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত দোকান, সর্বস্বান্ত দোকানি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নে মুন্ডা সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির দোকানে আগুন লেগে মালামালসহ নগদ টাকা আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি, বুধবার গভীর রাতে ভেটখালী মুন্ডা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুনের প্রকৃত সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হন মুন্ডা উপজেলার ভেটখালী গ্রামের হরিচরন মুন্ডার পুত্র সুশান্ত মুন্ডা (৪১)। সুশান্ত মুন্ডা জানান, মঙ্গলবার তার বাড়ীর পাশে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় সে দোকান দিয়ে আনুমানিক পনের হাজার টাকা বিক্রয় করে। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে দোকানের ভিতরে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার রাত আড়াই মিনিটের দিকে আগুনের তাপে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে এবং পার্শ্ববর্তী খালের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার ভিতরে ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ টাকাসহ মালামাল আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
সুশান্তর দাবি দুষ্কৃতকারী ক্যাশ বাক্স হতে টাকা চুরির করার জন্য দোকান ঘর ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আগুন লাগিয়ে তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
সংবাদ পেয়ে রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ সহিদুজ্জামান সহিদ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। শ্যামনগর থানা পুলিশ ও ডিএসবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, সুশান্ত মুন্ডার দোকানে আগুনের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আর্থিক সহযোগিতার জন্য লিখিত আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সুশান্ত মুন্ডার দোকানে যদি পরিকল্পিতভাবে দুস্কৃতকারী আগুন দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিবেদন লেখা পযর্ন্ত সুশান্তর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। সুশান্তর পরিবারে স্ত্রী, দুটি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র সন্তান আছে। দোকানের আয়ের উপর সন্তানদের লেখাপড়াসহ সংসার পরিচালনা হতো। আগুনে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা ভস্মীভূত হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে।