ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে আহত ৫০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে রবিনটেক্স নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা। দফায় দফায় সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন।
বুধবার উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের রবিনটেক্স কারখানার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মুবীন, সৈনিক বাঁধন, সোহরাব, মেহেদী। এছাড়া শাফিয়া, রুনা, মলিনা, মাজেদা, রুপু নামে চার শ্রমিকের নাম জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে রবিনটেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে অবস্থান নেয়। বুধবার সকালে কারখানার ভেতরে অবস্থান করে তারা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।
শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পানির বোতল নিক্ষেপ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার বাইরে এসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে অবরোধ করে।
মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শ্রমিকরা। দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিক রাহেলা বেগম, ফজল মিয়া, সুলতান মিয়া, কুলসুম বেগম বলেন, “ঈদের আগে আমাদের ৫০ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আমরা কারখানার ভেতরে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আমাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের অনেক শ্রমিক আহত হন।”
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “রবিনটেক্স গার্মেন্টস কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে তারা হামলা চালায়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক সদস্য আহত হয়েছেন।”