ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


নোয়াখালীর সেনবাগে পুত্রবধূকে নির্যাতন, থানায় অভিযোগ


২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৪০

আপডেট:
৩ মে ২০২৫ ০৮:৫৮

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক পুত্রবধূকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর গ্রামের ফতেহ্ আলী বাড়িতে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মৃত রহমত উল্যার স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৬০) বাদী হয়ে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. রিয়াজ উদ্দিন (২৭) ও রিয়াজ উদ্দিনের মা রোকসানা আক্তার (৫৫)-কে আসামি করে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাজেরা খাতুনের দেবরের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিনের মা রোকসানা আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির জায়গা-জমি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে তারা প্রায়ই হাজেরা খাতুনের পরিবারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও অভিযুক্তরা তাতে কর্ণপাত না করে হাজেরা খাতুনকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৯ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১১ টার দিকে অভিযুক্ত রিয়াজ উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিনের মা রোকসানা আক্তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হাজেরা খাতুনের বসতঘরের সামনে এসে তার দুই পুত্রবধূ সাজেদা আক্তার ও নার্গিস আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় সাজেদা আক্তার আপত্তি জানালে উভয়ে মিলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।

সাজেদা আক্তারের চিৎকারে নার্গিস আক্তার, সুমনসহ আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা হাজেরা খাতুনের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে হাজেরা খাতুন বাড়িতে ফিরে এসে আহত সাজেদা আক্তার কে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে হাজেরা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, “বিবাদীরা প্রভাবশালী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা যেকোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সেনবাগ থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।