ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


৫ বোনকে ধর্ষণের হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন


২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫৫

আপডেট:
৩ মে ২০২৫ ০৮:৫২

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের তেরশিরা গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তিন হাফেজাসহ পাঁচ বোনকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ায় পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) নিজবাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিবারের সদস্য মারিয়াম আক্তার। তিনি বলেন, আসামিরা জামিনে এসে তার বাবাকে গলাকাটা হত্যার হুমকি দিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তারা বাড়ির বাহিরে যেতে পারছেন না। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসাও বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পাঁচ বোন। আমাদের ভাই নেই। সবাই ধর্মীয় শিক্ষায় অধ্যয়নরত। পবিত্র কুরআনের তিন হাফেজা, একজন মাওলানা ও হেফজ শাখায় অধ্যয়নরত। পাঁচ বোনের সামনে বিবস্ত্র হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে ঘর থেকে ধরে এনে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়টি পুলিশ আমলে নেয়নি, অভিযোগে দিয়েছিলাম, তা কেটে দিয়েছেন। তিন ঘণ্টা ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ছিল। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের আবু বক্কর সিদ্দীক, জোসনা খাতুন, মাছুমা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।

তেরশিরা গ্রামে ফারুক আহমেদ জানান, আমাকে গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মো. খোরশেদ আলী বলেছেন- তাদের ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে মুক্ত করে দিতে। দুজন স্বাক্ষী নিয়ে এসে সাদা রঙের একটি তালার লক ভেঙে মেয়েদেরকে মুক্তি করেছি।

ভুক্তভোগী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমার বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। নিরাপত্তা চেয়ে একবার জিডি করেছি, দুই বার মামলা করেছি। ওরা জামিনে এসেই আমাদেরকে হুমকি দেয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, গ্রামের মানুষ ঝগড়ার সময় অনেক কথা বলে। শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা জামিনে মুক্ত আছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মির্জা মাযহারুল আনোয়ার বলেন, হামলা-ভাঙচুর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় যে অভিযোগ দিয়েছে, সেই মোতাবেক মামলা নেওয়া হয়েছে। কোনো কিছু সংযোগ বা বিয়োজন পুলিশ করে নাই। ঘটনার পর থেকে সেখানে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষের এবাদুল্লাহর স্ত্রী মাজেদা খাতুন বলেন, তাদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ আছে। অন্য যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

সাইফুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, আমার ছেলে জড়িত ছিল না। তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।