প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আ. লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

কুমিল্লার লালমাইয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশার চালক।
আর এনামুল হোসেন বাচ্চু একই ইউনিয়নের পাড়া দৌলতপুর গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াদুধের ছেলে। তিনি পেরুল উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পাড়াদৌলতপুর গ্রামের সর্দার।
প্রতিবন্ধীর মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার মেয়েটা প্রতিবন্ধী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জাহাঙ্গীর ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে ডাক দিলে মেয়ে বের হয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর তাকে গ্রামের গার্ড বাড়ির একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে ঘরে এসে আমাকে জানালে আমি গ্রামের সর্দার-মাতবরদের বিষয়টি জানাই।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টায় পাড়া দৌলতপুরের সর্দার এনামুল হোসেন বাচ্চু গ্রামের চা দোকানে (মারিয়াম স্টোর) বসে মাতবরদের নিয়ে জাহাঙ্গীরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কান ধরে উঠবস করান। সালিসে রায় কার্যকরের ৫০০ টাকা তাৎক্ষণিক উৎসবপদুয়ার জয়নাল সর্দারের কাছে জমা দেওয়া হয়।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিএনজি চালক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সালিস বৈঠক করে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে গ্রাম সর্দার এনামুল হোসেন বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।