গাজীপুরে গ্যাসের আগুন
ছেলের পর এবার মায়েরও মৃত্যু

গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে পারভীন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে, যার ছেলে মারা গেছে একদিন আগেই। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওই মায়ের মৃত্যু হয়।
পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়েছিল জানিয়ে ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, ২৭ এপ্রিল রাতে গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসার রান্নাঘরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। পরদিন সীমা নামের একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ২৯ এপ্রিল তাসলিমা নামের আরেকজন মারা যান। সবশেষ মারা যাওয়া পারভীনের ছেলে দেড় বছর বয়সী আইয়ানের মৃত্যু হয় শনিবার সকালে। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।
নিহত পারভীনের স্বামী মাজহারুল ইসলাম ঘটনার পর বলেছিলেন, ওই বাসায় তারা ভাড়া থাকেন। ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন, খবর পেয়ে বাসায় যান।
“যতটুকু জানতে পারছি, সিলিন্ডার থেকে ঘরের মধ্যে গ্যাস জমে ছিল। চুলা জ্বালাইতে গেলে বিকট শব্দে ঘরের মধ্যে আগুন ধরে যায়। পরে বাড়িতে থাকা অন্যরা পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।”
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এদের মধ্যে পারভীন আমার স্ত্রী, আয়ান আমার ছেলে। বাকিরাও ওই বাসার ভাড়াটিয়া।”