ঢাকা শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


নাসিরনগরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, দাম ও ভালো, কৃষকের মুখে হাঁসি


১০ মে ২০২৫ ২১:৩৩

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ২৩:৫৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। মেদী,গজারিয়া, বেড়িবাঁধ, আকাশিয়া হাওড় সহ বিভিন্ন হাওড়ে বোরো ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। এ বছর নাসিরনগর উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষা করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।এপ্রিলের ১ম থেকেই এ বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।

১২ এপ্রিল ২০২৫ রোজ শনিবার নাসিরনগর উপজেলা সদর ডাক বাংলোর সামনে লংগন নদী সংলগ্ন মেদী, গজারিয়া হাওড়ে বোরো ধান কাটা শুরু হয়। এ বছর ব্রি-৮৮/৯২ জাত ও হাইব্রিড ধান ভাল ফলস হওয়ায় এবং আগাম ধান কাটতে পারায় কৃষকরা খুবই আনন্দিত বলে জানা গেছে।

নাসিরনগরের ১৩ টি ইউনিয়নের মাঝে চাতলপাড়, গোয়ালনগর, ভলাকুট, কুন্ডা, নাসিরনগর সদর, গোকর্ণ, পূর্বভাগ, হরিপুর,বুড়িশ্বর সহ সকল হাওড় ও নিচু এলাকায় ধান কাটা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রায় শেষের দিকে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও তেমন ঝড় বৃষ্টি না থাকার ফলে কৃষকদের ধান কাটতে ও তুলতে কোনরূপ সমস্যা হচ্ছে না বলে ও জানা গেছে।

যে যেভাবে পারছে ধান কেটে খলায় শুকিয়ে ধান সংগ্রহ করছে। আবার কেউ কেউ ভিজা ধান বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা দিচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, কৃষকরা যাতে অধিক ফসল পায় এবং রোগ বালাই পোকা মাকড় থেকে ফসল সুরক্ষার জন্য উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে নিয়োজিত উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে নিয়মিত সু পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছে।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় হাওড় ও নন হাওড়ে উচু এলাকায় বোরো ও ইরি সহ মোট ১৭ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। অতিরিক্ত খরার কারণে কিছু জমিতে খোলপোড়া রোগের আক্রমণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধান কাটার জন্য উপজেলার কৃষকদের কাছে ৯৫ টি কম্পাইট হারভেস্টার মেশিন রয়েছে, তাছাড়াও ধান কাটার সময় নিকটবর্তী উপজেলা থেকেও কম্পাইট হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হয়। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার অর্জনের চেয়ে অনেক বেশি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। বলে দাবী করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন জানান,কৃষকরা যাতে ধানের ন্যয্য মুল্য পান সেদিকে খেয়াল রেখে এ বছর স্থানী খাদ্যগুদামে সরকারী ভাবে ১ হাজার ৪৪০ টাকা মন দরে প্রান্তিক কৃষকদের নিকট থেকে ১১শ ৮০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের অন্তর আলীর ছেলে কৃষক রুনু মিয়া ও ভোলাউক গ্রামের ছফিউল্লাহ স্থানীয় খাদ্য গুদামে ন্যায্য মুল্যে ধান দিতে পেরে অনেক আনন্দবোধ করছেন।