ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯শে আগস্ট ২০২৫, ৪ঠা ভাদ্র ১৪৩২


সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধ পানের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা


প্রকাশিত:
১৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:৪৫

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্ধুদ্ধ না করে সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেখানে ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৬০০ সেখানে রোগী আসে ৫ হাজার। এক হিসাব অনুযায়ী ৬৫ শতাংশ ডেলিভারি হয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে। কাজেই ধাত্রীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিয়ে কাজ এককভাবে সরকার বা স্বাস্থ্য সেক্টরের নয় বরং এনজিও কর্মী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামেরও। খুতবায় এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি মন্দির ও গির্জায় সচেতনতামূলক আলোচনা হতে পারে। এখানে মিডিয়ারও দায়িত্ব আছে। মিডিয়া আমাদের কাজগুলো, সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলো উপস্থাপন করে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।

ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ১৮ আগস্ট সোমবার বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)। এবারের প্রতিপাদ্য— ‘মাতৃদুগ্ধপানকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলুন’।

কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় নবজাতকের যত্নে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব উঠে আসে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এতে মায়ের কতটা সুবিধা হবে, তা আমার জানা নেই। তবে যদি এই ছুটি দিতে হয়, তাহলে শর্ত থাকতে হবে পিতা কত ঘণ্টা বাচ্চার সেবা করলেন বা মায়ের পাশে থাকলেন, সেটা লিখিতভাবে জানাতে হবে। তানাহলে এটি তেমন কাজে আসবে না।

উপদেষ্টা বলেন, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শিশু ভালো দুধ পাবে। কাজেই মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সরোয়ার বারী বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে চাইলে মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মাতৃদুগ্ধের হার ৬৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মায়ের দূধ শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।

কর্মশালায় আরো বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. এস কে রায়,
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম প্রমুখ।