ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


নেছারাবাদে ছাত্রদলের সভায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার যোগদান


১৩ মে ২০২৫ ১৭:২৭

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ২১:৩৯

পিরোজপুরের নেছারাবাদে শেখ হাসিনার ছবিতে হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়া ছাত্রদলকর্মীকে পেটানো সেই ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিয়াদুল ইসলামকে ছাত্রদলের সমাবেশ পূর্ব এক প্রস্তুতি সভায় দেখা গেছে।

রোববার (১১ মে) বিকেলে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশের এক পূর্ব প্রস্তুতি সভায় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে যোগ দিতে দেখা গেছে।

নেছারাবাদ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আয়োজনে ওই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলের পদ-পদবি ভাগাতে তিনি তদবির চালাচ্ছেন নানা মহলে। তবে এখনও সেই তদবিরে সাড়া না পেয়ে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে তার যোগ দেওয়ার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত একাধিক নেতাকর্মীরা।

ছাত্রদল কর্মী পেটানো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিয়াদুল ইসলাম উপজেলার ৮নং সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটির দলীয় প্যাড থেকে তার পদবি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি সমুদয়কাঠির জুলুহার গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সাইদুল হাওলাদারের ছেলে।

সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা মোঃ সিয়াম শেখ অভিযোগ করে বলেন, জুলাই- আগস্টের আন্দোলনের কোনো এক সময় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিল রিয়াদুল ইসলাম। সেই ছবিতে আমি হা হা রিয়্যাক্ট দিয়েছিলাম। তাতে রিয়াদুল ও তার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে সমুদয়কাঠি বাজারে এসে আমাদের ওপর লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমি সহ হাসান ও রিয়ান গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের হামলায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখম হয়েছিল। তখন অল্পের জন্য আমরা মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাই।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা হয়ে ছাত্রদলের কর্মী পিটিয়ে কীভাবে ছাত্রদলের সভায় আসলেন জানতে চাইলে রিয়াদুল বলেন, আমার পোলাপান চাইছিল। আমিসহ অন্যান্য পোলাপান ওখানে গিয়েছিলাম। পরে আবার চলে আসছি। এছাড়াও তিনি বলেন, একদল করে আরেক দলের প্রোগ্রামে গেলে দোষের কী?

সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম বলেন, রিয়াদুল ইসলাম ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক। তাকে উপজেলায় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি সভায় একবার দেখেছি। সে কীভাবে ওই সভায় যোগদান করল, বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করি। সে আসলে ওই জায়গায় কোনো হামলা বা বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে গিয়েছিল কিনা সেটাও সকলের জানা দরকার।