ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


সাতক্ষীরার আশা ব্রাঞ্চের গাভী পালনের প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল হয়েছেন গোলাম মাওলা


১৪ মে ২০২৫ ২২:৩১

আপডেট:
১৫ মে ২০২৫ ০৫:৪২

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের নিলিখালিতে গাভী পালনের সফল উদ্যোক্তা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন মো: গোলাম মাওলা, পিতা: মৃত মতিয়ার রহমান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাভী পালন করে আছসেন কিন্তু তেমন কোন লাভের মুখ দেখতে পেত না। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা আশা ব্রাঞ্চের সহযোগিতা নেয়, আশা ব্রাঞ্চের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে গাভী পালনের লাভবান হচ্ছে।

এ সময় গোলাম মাওলা বলেন আমি অনেকদিন ধরে গাভী পালন করে আসছি কিন্তু তেমন কোন লাভংশ পেতাম না, হঠাৎ করে আমার বাড়িতে আশা এনজিওর কর্মকর্তার সাথে দেখা হয়, তিনি আমাকে অফিসে যেতে বলেন, এবং একের পর এক পরামর্শ দিতে থাকেন গাভী পালন এর উপরে, এরপরে আমাকে লোনের একটা ব্যবস্থা করে দেন, আশা ব্রাঞ্চ থেকে লোন নিয়ে আমি আরো অনেক সুস্থ সবল গাভী ক্রাই করি, সেই থেকে আমি আস্তে আস্তে গাভী পালনে অভিভূত হয়।

তিনি আরও বলেন একদিন “আশা”অফিসে গিয়ে জানতে পারি “আশা” সাতক্ষীরা ব্রাঞ্চে অল্পলাভে দুদ্ধবতীগাভী খামার ঋণ দেওয়ার জন্য টাকা এসেছে। সাথে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে গাভী পালনের প্রশিক্ষণ সহ হিসাব সংরক্ষনের কলাকৌশল। মাসিক ও এককালীন ঋণ পরিশোধের সুযোগ। এই কথা শুনে চলমান ঋণ পরিশোধ হওয়ার পরে দুদ্ধবতীগাভী খামার ঋণ গ্রহন করি। পায় অফিস থেকে প্রশক্ষিনও প্রানীসম্পদ কর্মকর্তাদের সাথে যোগা-যোগের সুযোগ ও ব্যবসায়ের হিসাব সংরক্ষণের কলাকৌশল। এই সুযোগ গ্রহন করে গাভীঁ খামার বড় করে এক জন কর্মচারী কে মাসিক ১০,০০০টাকা বেতন দিয়ে রাখা হয়েছে। আমি এখন আগের চেয়ে অনেক লাভবান হচ্ছি এই গাভী পালন করে। এবং পাশাপাশি পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পুরুন করে ও দেশের প্রানীসম্পদ বিপ্লব ঘটানোর জন্য গাভীঁ খামার করে, দেশের দুধ ও মাংসের চাহিদা পূর্নে সহ যোদ্ধা হিসাবে ভুমিকা রাখছি ।

প্রতি বছরে তার গাভী পালন করে ৪-৫ লক্ষ টাকা আয় হয় গাভী পালন সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকায় বর্তমানে একজন সফল উদ্যোক্তা। এলাকার অনেক তার পরামর্শ গ্রহন করে গাভী পালন করে লাভবান হয়েছেন। এখন থেকে গোলাম মাওলা দেশের উন্নয়ন তথা প্রানীসম্পদ বিপ্লব ঘটানোর কাজ কওে যাচ্ছে। আমি তাহার সার্বিক উন্নয়ন প্রত্যাশা করি।