ঢাকা শুক্রবার, ১৬ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


শেরপুরের উন্নয়নের দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন


১৫ মে ২০২৫ ২০:০৮

আপডেট:
১৫ মে ২০২৫ ২০:০৯

১৫ মে বৃহস্পতিবার শেরপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ, রেললাইন ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শেরপুরের সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে শেরপুর প্রেসক্লাবের ডাকে সারা শহরজুড়েই এ নাগরিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে জেলার অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর থেকে অষ্টমীতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের দুই পাশের রাস্তায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন গড়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী ও আদিবাসী সম্প্রদায়সহ সর্বস্তরের মানুষ। যান চলাচল বন্ধ রেখে গাড়ি থেকে নেমে অনেকে নিজ উদ্যোগে পথচারীদের মানববন্ধনে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন।

প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নাগরিক মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাবেক তিনবারের এমপি জনাব, মাহমুদুল হক রুবেল, শেরপুর ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ও সমাজকর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, জেলা জামাতের আমির মাও: মো: হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আওয়াল চৌধুরী, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান তারা, জেলা যুবদলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম মাসুদ, শহর বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান রুপম, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শওকত হোসেন, জেলা জাতিয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রশিদ বিএসসি, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুকছিতুর রহমান হীরা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

৫ দফা দাবির মূল পয়েন্ট ছিল:

১. শেরপুরে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা স্থাপন,

২. একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা,

৩. জেলার সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন,

৪. পর্যটন খাতে হোটেল-মোটেলসহ অবকাঠামো উন্নয়ন,

৫. অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করে শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার।

উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে শেরপুরকে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করা হলেও ৪১ বছর পর সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জেলার প্রায় ১৬ লাখ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ফলে শেরপুরবাসী অনেক আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এসময় জেলায় উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, উচ্চ শিক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়, যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেল নেটওয়ার্কের সংযোগ, পর্যটন খাতের উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বানিজ্য প্রসার লাভে অর্থনৈতিক জোন নির্মাণের দাবী করেন বক্তাগণ।