গোপালগঞ্জে এনসিপির পিছু হটার রহস্য জানালেন সাংবাদিক মিনহাজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পথসভায় হামলা ও এনসিপি নেতাকর্মীদের সাময়িক পিছু হটার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন সাংবাদিক ও তরুণ কবি মিনহাজুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে তাঁর নিজ ফেসবুক আইডিতে করা এক পোস্টে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। সেখানে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের সাথে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ না থাকা, রাজনৈতিক অদক্ষতা, অল্প বয়সী ও কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিন্ডিকেট কমিটি করাকে এনসিপির ব্যর্থতার কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
"এনসিপিকে বলছি- গোপালগঞ্জে আপনাদের উপর যখন হামলা হলো, তখন আপনাদের নেতাকর্মীরা কই গেল?
এমনটি হওয়ার কারণ জানেন? আপনারা রাজনীতিতে এসেছেন বটে, কিন্তু নিজেরাই রাজনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ৷ আপনাদের নেতাদের মুখেই শোনা- আপনাদের কেন্দ্রীয় নেতারা জেলাপর্যায়ের নেতাদের সাথে নাকি কোনো যোগাযোগ রাখেন না। এমনকি তৃণমূল থেকে নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় অফিসে গেলেও, আপনারা তাদের সাথে কথা বলারই সময় পান না, খোঁজ নেননা, অনেকে নাকি বিশাল ভাব নিয়ে বসে থাকে। তাহলে ওই নেতাকর্মীরা কেন আপনার জন্য জীবন দিবে? শুনেছি- আপনাদের সংগঠনের মধ্যেও অনেক বিশৃঙ্খলা।
এরপর কথা হলো- আপনারা গোপালগঞ্জ ঢুকলেন, কিন্তু পর্যাপ্ত কর্মী ছিলনা কেন? সেখানে কর্মী কম থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু আশপাশের নড়াইল, খুলনা, বাগেরহাট থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে লোক আনতে পারতেন। অবশ্য জেলা পর্যায়ের নেতাদের সাথে নাকি আপনারা যোগাযোগই রাখেন না, তাহলে কথা কেন বলবেন! আসলে আপনাদের দলের ভবিষ্যৎ কী জানিনা। আপনারা দল গঠন করেছেন এমনভাবে যেন এটি চিলড্রেন কমিটি কিংবা ঢাবি কমিটি! দল করে টিকতে চাইলে অভিজ্ঞদের নেয়া উচিত ছিল। দল করার অধিকার আপনাদের আছে, সেটা করেন। কিন্তু এমনভাবে করা ঠিকনা, যাতে করে পরে হাসির পাত্র হতে হয়।
যাইহোক সর্বোপরি কথা হলো- নতুন দল গঠন করেই বিএনপি, জামায়াতের মতো বড় দলকে শত্রু বানিয়েছেন। যা করতে পারবেন না, তা মুখে বলেন কেন? এত উস্কানীমূলক বক্তব্য রাখার তো দরকার নেই। রাজনীতি হলো ঠাণ্ডা মাথার জিনিস। আন্দোলনে আপনারা সফল হলেও, রাজনীতিতে মনে হয় সেভাবে ভালো করতে পারবেন না। কামনা করি- আল্লাহ আপনাদের নিরাপদ রাখুন।"