ঢাকা বুধবার, ২০শে আগস্ট ২০২৫, ৬ই ভাদ্র ১৪৩২


শিশু সায়মন হত্যা: চাচীর যাবজ্জীবন, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত:
২০ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২৫

আদালতে দণ্ডিত শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠান

দুই বছর আগে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শিশু সায়মন হত্যা মামলায় তার চাচী শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শেফালীর ‘প্রেমিক’ বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

কুমিল্লার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী বুধবার এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি বিল্লাল ও শেফালী কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন জানান, বিল্লালকে মৃত্যুদণ্ড এবং শেফালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অভিযোগে আরেকটি ধারায় তাদের দুইজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ অগাস্ট বিকালে মায়ের সঙ্গে তিতাসের বাতাকান্দি বাজারে যায় সাত বছর বয়সী সায়মন। সেখান থেকে কোমল পানীয় কিনে বাড়ি ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়। বিষয়টি জানিয়ে ১৮ অগাস্ট তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। পরদিন সকালে স্থানীয় একটি মাঠে ঝোপের ভেতর থেকে সায়মনের অর্ধগলিত পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার হত্যা মামলা দায়ের করেন। সায়মনের চাচী শেফালী বেগমসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫/৬ জনকে সেখানে আসামি করা হয়। পরে মামলার তদন্তে বিল্লাল পাঠানের নাম আসে। গোয়েন্দা পুলিশ ত শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানকে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

সেই অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে আইনজীবী ইকরাম হোসেন বলেন, “শেফালী বেগমের সাথে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে বিকৃত করা হয়।”

মামলার শুনানিতে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার দুই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত। সাময়নের মা খোরশেদা আক্তার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার সন্তান হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আবেদন জানাচ্ছি।”